নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার নতুন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে পাপিয়াকে নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এক এমপিকে বারিধারার এক বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। যুব মহিলা লীগের ওই দুই নেত্রী চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকি দিতেই সেদিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সেদিনের ঘটনায় বাড়ির মালিকের পক্ষে বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গ্রুপ ফোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। জিডিতে ওই বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় ও অনেক অপকর্মে পাপিয়ার সঙ্গে যেতেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সাবেক একজন এমপি বলে জানায় সূত্র। নেপথ্যে কারিগর ছিলেন দলের পদধারী আরেক নেত্রী।
এ দিকে পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে জানতে ভিডিওতে থাকা সাবেক এমপি ও যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনুমতি চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনুমতি পেলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া যুব মহিলা লীগের আরও কয়েকজন নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের চিন্তাভাবনা চলছে বলেও সূত্রের তথ্য।
রবিবার (১ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গেল বছরের ডিসেম্বরের ২৫ তারিখের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডে বারিধারার ওই বাড়ির সামনে এসে থামে সাদা রঙের বিলাসবহুল জিপ। কিছুক্ষণ পরই গাড়ির দুই পাশ দিয়ে নামেন পাপিয়া ও ওই সাবেক নারী এমপি। মিনিট পাঁচেক গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গ্রুপ ফোর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়ি থেকে শাড়ি পরা আরেক নারী নেমে আসেন। এরপর কয়েকজন নারী ও পুরুষ সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন তিন নারী। গেটের সামনে সঙ্গীদের রেখে তিনজনই প্রবেশ করেন বাড়ির ভিতরে। এর বেশ কিছু সময় পর দুজনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ওই বাড়ি থেকে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়াকে আটককালে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা, ইয়াবা, মদ ও জাল মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। পরদিন তাকে নিয়ে নরসিংদী ও রাজধানীর ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ফার্মগেটের বাসা থেকে নগদ ৫৮ লাখ টাকা, অবৈধ পিস্তল ও গুলি, বিদেশি মুদ্রা ও মদ উদ্ধার করা হয়। এরপর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন : স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন স্বামীও
পরে পাপিয়াসহ গ্রেপ্তার চারজনকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। জাল মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় ওই থানায় একটি মামলা করা হয়, যেখানে চারজনকেই আসামি করা হয়। এ ছাড়া অস্ত্র ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় আরও দুটি মামলা করা হয় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের বিরুদ্ধে।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড