সারাদেশ ডেস্ক
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় যাত্রীচাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চগুলো। ফলে ধারণক্ষমতার দুই তিনগুণ যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে ঘাট ত্যাগ করছে।
অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিশেষ করে শিশু ও নারীরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো থাকছেই। একেকটি লঞ্চ ৮-৯শ’ যাত্রী ধারণক্ষমতার একেকটি লঞ্চ তিনগুণ অর্থাৎ ২ হাজার ৭শ’ থেকে ৩ হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিন্ন দৃশ্য দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক লঞ্চ সুপারভাইজার জানান, দিনভর প্রতিটি লঞ্চ ধারণক্ষমতার তিনগুণ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর ছেড়েছে।
দুপুরে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও তারা ঘাট ছাড়ছে না। সকাল থেকে এমভি সোনারতরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল, এমভি আবে জমজম, এমভি প্রিন্স অব রাসেল, মেঘনা রানী ও বোগদাদিয়া-৭ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ছেড়েছে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এই রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে। চাঁদপুরসহ পার্শবর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুরের আংশিক এলাকার মানুষ এখন এ রুটে যাতায়াত করেন। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য তারা এ রুটকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাই যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা যাচ্ছে।
কয়েকটি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে না ওঠার জন্য বললেও যাত্রীরা তা শোনেন না। বাধ্য হয়ে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নির্ধারিত সময়ের ২০-৩০ মিনিট আগেই ঘাট ত্যাগ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক রেজাউল করিম সুমন ও মাহতাব উদ্দিন জানান, লঞ্চের সংখ্যা সীমিত, যাত্রীর চাপ বেশি। তাই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাট ছাড়ছে। তবে ছাদে কোনো যাত্রী উঠতে দেইনি। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে তৎপর রয়েছি। আশা করি যাত্রীরা নিরাপদে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবে।
ওডি/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড