সারাদেশ ডেস্ক
বরিশালগামী সুরভী-৮ লঞ্চে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় শারমিন আক্তার আঁখিকে (২৯) কেবিনের ভেতরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন কথিত প্রেমিক মো. সুমন (৩২)। আঁখিকে হত্যার পর সুমন সারারাত কেবিনে অবস্থান করেন। এরপর ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছালে কৌশলে পালিয়ে যান।
সোমবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর রূপাতলীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত সুমন ঢাকার সদরঘাটের ১ নম্বর গেটের সামনে ৭-৮ বছর ধরে ফল বিক্রি করেন। অন্যদিকে আঁখি নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার অনন্ত অ্যাপারেলস লিমিটেডে অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ছয় মাস আগে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আঁখির সঙ্গে সুমনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক স্থাপনের আগে দুজনই তাদের আগের বিয়ে ও সন্তান থাকার কথা পরস্পরের কাছে গোপন করেন। এছাড়া তারা দুজন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার দেখাও করেন।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর লঞ্চে করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য আঁখি ঢাকার সদরঘাটে আসেন। আঁখির জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিলেন সুমন। এরপর তারা সুরভী-৮ লঞ্চের নিচতলার একটি স্টাফ কেবিন ভাড়া নেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়ে। এ সময় আঁখি ও সুমন লঞ্চের একই কেবিনে অবস্থান করছিলেন। রাত ১১টার দিকে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আঁখিকে চাপ দিতে থাকেন সুমন । সে রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সুমন। এ সময় ধস্তাধস্তি করতে থাকেন আঁখি। একপর্যায়ে সুমন আঁখিকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, হত্যার পর সুমন সারারাত কেবিনে অবস্থান করেন এবং ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাটে লঞ্চ পৌঁছালে সুমন কৌশলে লঞ্চ থেকে নেমে যান। এরপর সব যাত্রী নেমে গেলেও আঁখির কেবিনটি আটকানো ছিল। লঞ্চের স্টাফরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে নৌবন্দর থানা পুলিশকে খবর দেন। শনিবার সকালে নৌবন্দর থানা পুলিশ এসে কেবিন থেকে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে ।
মেজর খান সজিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে র্যাব সদস্যরা। এরপর আত্মগোপনে থাকা সুমনকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ফল বিক্রেতা সুমন আঁখিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দের আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড