শাকিল মুরাদ, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক ছাগলের পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় পশুর মালিক বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
জানা গেছে, অভিযুক্ত হাসান মিয়া (২২), তিনি গান্ধিগাঁও এলাকার হামিদুর রহমান ওরফে হামেদ আলীর ছেলে।
ছাগলের মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাগলটিকে মালিক ঘাস খাওয়ানোর জন্য ক্ষেতে খুঁটি দিয়ে বেঁধে রেখে আসে। দুপুরের দিকে ছাগলটিকে বাড়িতে আনতে যায় মালিক। এ সময় ওই জায়গায় ছাগলটিকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক পযার্য়ে ওই এলাকার কাঠের একটি বাগানে ছাগলটি দেখতে পায়। এদিকে, ছাগলের মালিককে দেখেই দৌঁড়ে পালায় একই এলাকার বাসিন্দা হাসান মিয়া।
ছাগলের মালিক আজিরন নেছা জানান, ছাগলটি বয়স দুই বছর, দুটি বাচ্চা রয়েছে। ছাগলটি আনতে গিয়ে দেখি যেখানে ছাগল বেঁধে রেখেছিলাম সেখানে নেই, পরে একটি কাঠের বাগান থেকে পা-মুখ বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি।
আজিরন নেছার ছেলে অভিযোগের বাদী আব্দুল আজিজ জানান, ছাগলটির পা-মুখ বেঁধে রেখে ধর্ষণ করে। ছাগলটির অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় দ্রুত পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে হাসান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য জানা যায়নি। আর তার বাড়ির লোকজন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও এলাকার ইউপি সদস্য এনামুল কবির মানিক বলেন, বিষয়টি দু:খজনক ও লজ্জার। যেহেতু ঘটনাটি থানা পর্যায়ে চলে গেছে, সেহেতু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। আমরাতো আর এ বিষয়ে শালিস করবো না।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড