• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙ্গন; বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি

  এমদাদুল হক লালন, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২২
ব্রহ্মপুত্র নদ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে কমতে শুরু করেছে দশানী, জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙ্গন। গত কয়েকদিনের প্রবল ভাঙ্গনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গাছপালা ও ফসলি জমি চলে গেছে নদীর পেটে। তলিয়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন প্রকারের সবজি ক্ষেত ও ফসল। ভাঙ্গনের কারণে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী মানুষেরা।

জানা যায়,গত কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহের কারণে দশানী নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদীর ভাঙ্গন। বিশেষ করে উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের কুশলনগর, সাজিমারা, মেরুরচর ইউনিয়নের শেখেরচর, মাইছেনির চর, ভাটি কলকিহারা, খেওয়ারচর, আউলপাড়া, বাঘাডুবা, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী, কুতুবেরচর, বাংগাল পাড়া,আইরমারী, খান পাড়া, চর আইরমারী,চর কামালের বার্ত্তী এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক বসত ভিটা। গাছপালা ও ফসলি জমি চলে গেছে নদীর গর্ভে।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী খান পাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা এ,কে এম, আসাদুজ্জামান খোকা বলেন, এবারো নদী ভাঙনে আমার ২টি বসত ঘর ও ঘরে থাকা আসবা পত্র নদী গর্বে বিলীন হয়ে যার।একই গ্রামের রেজাউল জানান,আমার একটি ঘর ও একটি বড় খড়ের পাল্লা, গাছ পারা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে, মেহেদি হাসান নামে নদী ভাঙ্গনের শিকার আরেক জন জানান, আমার রান্না ঘরসহ গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এখন আমাদের রান্না বাড়িসহ নানা কষ্টে আছি । ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তাদের।

খলিলুর রহমান,নুর ইসলাম,সাহা আলম বলেন,তারা সবাই কমবেশি নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া নদী তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থরা নিতান্তই অসহায়। অনেকের নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য পর্যন্ত নেই। কিন্তু ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। ত্রান নয় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধান চান তারা।

এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন,উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশি বন্যা কবলিত হয় মেরুরচর ইউনিয়নে মানুষ। প্রতিবছর বন্যায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদীর পানি কমতে শুরু হলেও বেড়েছে ভাঙ্গন। বেশ কয়েকটি গ্রামে সরেজমিনে গিয়েছি,খোঁজ খবর নিয়েছি ক্ষতিগ্রস্থদের। স্থানীয় সাংসদ আবুল কালাম আজাদ, ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত দৈনিক অধিকারকে বলেন, তিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড