• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

১০ মাস ধরে পাচ্ছেন না বেতন-ভাতা

বেতন না পেয়ে আয়ার সংবাদ সম্মেলন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৩৭
বেতন না পেয়ে আয়ার সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আয়া মোছা জুলেখা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় পরিবারের লোকজন সঙ্গে নিয়ে বেতন-ভাতা চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুলেখা খাতুন অষ্টম শ্রেণির সনদ দিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে রামচন্দ্রপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝাড়ুদার কাম আয়া পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে এমপিও ভুক্ত হন। সেই থেকে বিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তিনি।

এর মধ্যে ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার তালিকা হালনাগাদে) তথ্য সংগ্রহকারী জুলেখা খাতুনের আনুমানিক একটি জন্ম তারিখ লিখে দেন। পরবর্তী সময়ে জুলেখা খাতুন জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পেলে বয়সের অসংগতি দেখতে পান এবং তার স্কুল সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখের অমিল দেখা দেয়। পরে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন জুলেখা খাতুন।

জুলেখার অভিযোগ, জাতীয় পরিচয় পত্রের এ জটিলতাকে পুঁজি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানে পায়তারা করছে। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের কথা বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলেখা খাতুনের কাছ থেকে প্রথমে ২০ হাজার ও অডিটের করার নামে ৫০ হাজার টাকা নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন না করে জুলেখা খাতুনের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়। দীর্ঘ ১০ মাস থেকে বেতন বন্ধ থাকায় জুলেখা খাতুন পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শের আলম ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রেজাউল করিম তাজু মিলে জুলেখা খাতুনের ওই পদে অন্য কাউকে নিয়োগের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে চাকরি থেকে রিজাইন দিতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নানা ভাবে ভয়ভীতিসহ হুমকি দিয়ে আসছে জুলেখাকে।

তার দাবি, সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে জুলেখা খাতুনকে বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন।

জুলেখা খাতুনের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চাকরি। বন্ধ বেতন-ভাতা উত্তোলনের ব্যবস্থাসহ প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড