এমদাদুল হক লালন , বকশীগঞ্জ (জামালপুর):
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলা নিউজের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের ৪৩ ঘন্টা পার হলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে প্রধান অভিযুক্ত সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরেও এখনো আটক হয়নি অনেককে। এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেছে জেলা, উপজেলার সকল কর্মরত সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে।
গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে দূর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় সাংবাদিক নাদিমকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জুন ভোরে সাংবাদিক নাদিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৩টার দিকে কর্মরত চিকিৎসক সাংবাদিক নাদিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের পর ১৫জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের মরদেহ বকশীগঞ্জে নিজ বাড়িতে আনা হয়।
১৬ জুন পৌর এলাকার নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম জানাযা নামাজ ও নিলক্ষিয়ার গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাংবাদিক নাদিমকে। তবে এই ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন- "আমরা ১৬ জুন রাত বা ১৭ জুন সকালের মধ্যে মামলা দায়ের করবো। কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা মামলাটি দায়ের করবো।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত বলেন- আমার বাবাকে চেয়ারম্যান বাবুর নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বাবুর অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে আমার বাবা নিউজ করেছিলো। তাই তারা আমার বাবাকে হত্যা করে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন- মাহমুদুল আলম বাবু প্রভাবশালী থাকায় এর আগেও ঘটিয়েছেন অনেক ঘটনা। বকশীঞ্জগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুম্মান বলেন- বাবু চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই পুলিশ বিভাগের সাবেক একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার জন্য বাবু চেয়ারম্যান খুব প্রভাবশালী। তিনি এর আগেও অনেক অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করেছেন। আমরা তার বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দিয়েছে জেলা ও উপজেলার সাংবাদিক নেতরা। এই ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত নাদিমের পরিবার।
নিহত নাদিমের বাবা আব্দুল করিম বলেন- আমরা বাবু চেয়ারম্যানের ফাঁসি চাই। সে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বাবু চেয়ারম্যানসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জামালপুর পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন- আমরা ইতিমধ্যে ৬জনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের ৫টি টিম মাঠে কাজ করছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড