ভারতীয় কোম্পানির ডাকাতি হওয়া মালামালসহ আট আসামি গ্রেফতার

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪০০ কেবি লাইন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের ট্রান্সরেল লাইটিং লিমিটেডের নাটোরের ডিপোতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় দুই কোটি ৭২ লাখ টাকার মালামালসহ আট ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকার অপর একটি মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে আটকের পর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সাঈদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৩ মে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল নাটোর সদরের দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামের ডিপো থেকে রাত সাড়ে আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত তিন নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে। ডাকাতরা দুটি ট্রাকে করে চার কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪৭ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলার পাবর্তিনগর এলাকার সুফল ঘোষ (৫৪) পরের দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫-২৬ জনের নামে নাটোর থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

দুদিন পর ডাকাতি করা মালামাল চট্টগ্রামে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রযুক্তির সহযোগিতায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা থেকে দুটি ট্রাকসহ আট ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে মধ্যে তিনজনকে ঢাকার অপর একটি মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

নাটোরে আনা পাঁচজনের মধ্যে চারজন দুটি ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারী। এই চারজন সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। অপরজন ডাকাত সদস্য বরিশালের মুলাদির বাদল ওরফে আসলাম বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, মামলার সকল অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। ঢাকায় অপর মামলায় আটক তিনজনকেও ২/১ দিনের মধ্যে নাটোরে এনে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের অধীনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ট্রান্সরেল লাইটিং লি. রূপপুর হতে বগুড়া পর্যন্ত ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ করছে। নাটোর সদরের দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামের ডিপোতে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য কোম্পানির বৈদ্যুতিক তারসহ অন্যান্য মূল্যবান সকল মালামাল রাখা ছিল।

গত ২৩ মে (মঙ্গলবার) সারারাত নিরাপত্তা কর্মীদের জিম্মি করে তিনটি ট্রাকে ২৫-২৬ জন ডাকাত চার কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪৭ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। নাটোর থানার ওসি নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।