মো. আবুবকর মিল্টন, বাউফল (পটুয়াখালী)
বাংলা ক্যালেন্ডারে গ্রীষ্মকাল চললেও সকালে শীতকালের মতো চারদিকে ঘন কুয়াশায় অন্য দিকে গ্রীষ্মের তাপদাহ। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে পটুয়াখালী বাউফলের জনজীবন বিপর্যস্ত। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সকালে ঘন কুয়াশা থাকলেও ঠাণ্ডার কোনো নাম গন্ধ নাই। বেলা দশটার পরে প্রচণ্ড গরমে, বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘরের বাহিরে খেটে খাওয়া নিম্ন, মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা। এর উপরে বিদ্যুতের খাড়া ঘা। দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টাই থাকে বিদ্যুৎর যাওয়া আসার মিছিল। চব্বিশ ঘণ্টার ভিতরে তিন থেকে চার ঘণ্টা বেশি থাকে লোডশেডিং।
এ সময় তিপ্ত রোদে ঘরের টিনের চালের ভিতরে থেকে অতিষ্ঠ শিশু ও বৃদ্ধ। চরম ভোগান্তি তে পরছেন রোজাদাররা।
এ দিকে তপ্ত রোধে ফসলি জমি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বাউফলের চাষিরা। এ তপ্ত রোধে জমির মাটি শুকিয়ে খড়খড়া হয়ে যাচ্ছে, ফসলি গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে এবং নানান পোকায় ফল ও ফুলের ভিতরে বাসা বাঁধছে। এ দিকে অস্বাভাবিক গরমে হাসপাতালে বেড়েছে নানান রোগে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বাচ্চা শিশু রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
রিকশা চালক কবির মিয়া বলেন, গরমের কতা ভাই আর কইয়েন না। এত গরম আমার বাহের (বাবা) বয়সেও পাইনাই। ঘরে অভাব না থাকলে গাছতলায় বসে থাকতাম হারাদিন। শরীর থেকে একসের ঘাম বৃষ্টির মতো পরে। এক দিকে রোজা অন্য দিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষ তেমন রাস্তা ঘাটে নাই। খ্যাপ ও তেমন পাই না।
পান চাষি বিমল চন্দ্র দাষ বলেন, এভাবে যদি আর এক সপ্তাহ রোধ গরম পরে তাহলে আমাগো পান অনেকটাই পচে যাবে। এতে দুই লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হবে আমাদের।
মুগডাল চাষি রাজ্জাক রাড়ী বলেন, এ রকম রোদ আরও এক সপ্তাহ থাকলে ডাইল ই ঘরে তুলতে পারবো না। সব টাকা যাবে পানিতে, ডাইলে নানান পোকে বাসা বাধতেছে ভিতরে সব খাইয়া ফালায়।
রোজাদার হাজ্জর মোল্লা এক বৃদ্ধা বলেন, আমি পাগল হয়ে চাচ্ছি বাবা, কলিজাটা শুগাইয়া বাইরে বাইর হইয়া যাওয়ার মতো অবস্থা, আল্লাহ আল্লাহ করে রোজা কয়টা শেষ করতে পারলে হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড