• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফের র‌্যাব হেফাজতে সিনহা হত্যার ৩ সাক্ষী

  অধিকার ডেস্ক

২৯ আগস্ট ২০২০, ১৬:৪৫
সাক্ষী
ফের র‌্যাব হেফাজতে সিনহা হত্যার ৩ সাক্ষী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পুলিশের গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় দায়ের করা পুলিশি মামলার তিন সাক্ষীকে আবারও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে শনিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বের করে সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাব।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশের তিনজন সাক্ষীরা হলেন- টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট প্রথম দফা সাতদিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে দ্বিতীয় দফায় তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ। ফের সিনহা হত্যার বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিল র‌্যাব।

গত ১১ আগস্ট সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার পর তার সঙ্গে থাকা সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় মামলা করে পুলিশ। এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের দায়ের করা ওই মামলায় এই তিনজনকে সাক্ষী দেখানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর চেকপোস্ট এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। একই সঙ্গে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের মামলার আসামি করা হয় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে। আর হত্যাচেষ্টা মামলায় সিফাত ও নিহত সিনহাকে আসামি করা হয়। অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।

ওই ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরদিন সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আরও পড়ুন : চাকরির আশ্বাসে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে লিটন

তবে এই মামলার অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই। তবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এখন পর্যন্ত সিনহা হত্যার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই গ্রেপ্তার এপিবিএনের তিন সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চলছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড