• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রামেক হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট

  রাজশাহী প্রতিনিধি

৩০ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৫১
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ছবি : দৈনিক অধিকার)

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এ জন্য হাসপাতালে খোলা হয়েছে নতুন ওয়ার্ড। সেই সঙ্গে নতুন রোগের এই ভাইরাস সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে ও সম্ভাব্য রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে তিনজন চিকিৎসককে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

গত বছর ডেঙ্গু ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার পর স্থানীয় পর্যায়ে রামেক হাসপাতাল যে কোনো রোগ মহামারি আকার ধারণের আগেই প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে দক্ষতা অর্জন করেছে। সম্প্রতি নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায়ও রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি উদ্ভবের পর সতর্কতাস্বরূপ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর অংশ হিসেবে হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর কেবিনে পাঁচটি বেড যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি বেড ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি বেড দিয়ে আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিতে প্রস্তুত আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর এই ভাইরাসের ওপর নতুনভাবে ট্রেনিং নিতে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা যাবেন তিন চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে সরকারি নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের সতকর্তার প্রস্তুতির জন্য আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই মোতাবেক দুটি কেবিনে এই ইউনিট খোলা হয়েছে। আর এই ইউনিটে হাসপাতালের সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকরা থাকবেন রোগীদের সেবা দিতে। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে রোস্টার তৈরি করা হবে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য তারা আতঙ্কিত নয়। তবে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে তারা সঠিকভাবে সেবা দেবেন।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান বাদশা জানান, এটি ভাইরাস রোগ হওয়ায় সর্দি, কাশি ও অন্যান্য কারণে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত নয় চিকিৎসকরা। কারণ ভাইরাসের সাধারণ একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে ভাইরাস এমনিতেই মরে যায়। চীনে এখন ভাইরাসটি কিছুটা কমে যাচ্ছে। মৌসুম শেষ হলে সাধারণ এক মাসের মাথায় ভাইরাসটি তেমনভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে না।

ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, চীন বাংলাদেশের চেয়ে অনেক দূরে। এখন কিছু মানুষ আক্রান্ত হলে ভারতে হতো। কারণ ভারত তাদের সীমান্ত রাষ্ট্র। ভারতে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশের জন্য বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ থাকত। কিন্তু বাংলাদেশের পেক্ষাপট এখন একটু ভিন্ন। রাজশাহীর বিষয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আরও পড়ুন : সিরাজদিখানে মাহীর ঢেউটিন ও অর্থ বিতরণ

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের সবধরনের প্রস্তুতি আছে। বর্তমানে হাসপাতালের ১৭ ও ১৬ নম্বর কেবিনে পাঁচটি বেড নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। আর হাসপাতালের আরপিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকাতে তিনজন চিকিৎসক এ বিষয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য যাওয়ার কথা আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা রামেক হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসককে ঢাকাতে পাঠাব।’

ওডি/এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড