• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শরীয়তপুরে ইটভাটা কেড়ে নিচ্ছে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি

  শরীয়তপুর প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৮
ইটভাটা কেড়ে নিচ্ছে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি
বিসমিল্লাহ ইটভাটা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের কানারগাঁওয়ে অবস্থিত বিসমিল্লাহ ইটভাটা। এই ইটভাটা কেড়ে নিচ্ছে ফসলি জমির মাটিসহ বসতবাড়ি।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে দেখা যায়, ইটভাটার সঙ্গেই বসতবাড়ির সামনে থেকে ফসলি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। কাগজপত্রে চার একর জমিতে ইটভাটা দেখানো হলেও বর্তমানে বিসমিল্লাহ ইটভাটার নামে প্রায় ১০ একর ফসলি জমির জায়গা দখল করে নিয়েছে।

এলাকার কৃষকরা দৈনিক অধিকারকে বলেন, ইটভাটাসহ আশপাশের সবই ফসলি জমি। ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। ভাটা মালিকরা গরিব কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে মাটি কিনে নিচ্ছে। আবার কিছু জমির মালিক বৃত্তবান হওয়ায় ভাটা মালিকের কাছে জমি লিজ দিয়েছে। এতে করে আমাদের ফসলি জমিতে আগের মতো ফসল ফলে না।

ইটভাটার ভেতরে রয়েছে মৃত নুরুল ইসলাম ছৈয়ালের একটি বসতবাড়ি। বাড়ির ভেতরে ঢুকে কথা হয় নুরুল ইসলাম ছৈয়ালের স্ত্রী' নাজমার সঙ্গে। তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, এই ইটভাটার কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাড়ি করেছি। এখন এখানেও থাকতে পারছি না। এখান থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। আমার স্বামী নেই দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক ছেলে মালদ্বীপ আরেক ছেলে মালয়েশিয়ায় থাকে। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। আমি এই ইটভাটার জন্য মহাবিপদে আছি। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কিছু বলতে পারি না।

নুরুল ইসলাম ছৈয়ালের মেয়ে শারমিন (১৭) বলেন, ভাটা মালিকের দুলাভাই আমাদের বাড়ি এসে বলেছেন, এই জায়গায় থাকতে পারবা না। জায়গা নিয়ে দিচ্ছি, এখান থেকে বাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করো।

আরও পড়ুন : ঈশ্বরদীতে হনুমানকে ঘিরে উৎসুক জনতা

এ সমস্ত ঘটনা বিসমিল্লাহ ইটভাটার মালিককে জানালে তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। কোনো ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে না এবং কারও বাড়ি সরানোর কথাও হয়নি। যে বাড়িতে অভিযোগ দিয়েছে সেটা তার জায়গা না। আমার ভাটার সমস্ত কাগজপত্র আছে।

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলার দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান শেখ দৈনিক অধিকারকে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসক অথবা ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে। আমরা ব্যবস্থা নেব।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড