• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেষ বলের নাটকীয়তায় মুশফিকদের হারালেন ওয়ার্নাররা 

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৮

সিলেট-চিটাগং
ছবি: সংগৃহীত

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য চিটাগং ভাইকিংসের দরকার ছিল ৩৮ রান। প্রতিটি বলই মূল্যবান। আর মূল্যবান বলকে কাজে লাগিয়ে প্রায় জিতেই গিয়েছিল মুশফিকের চিটাগং। উইকেটে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান রবি ফ্রাইলিঙ্ক ইনিংসের ১৯তম ওভারে তোলেন ১৪ রান। জয়ের জন্য এক ওভারে তখনও প্রয়োজন ২৪ রান। আল আমিনের শেষ ওভারের পঞ্চম বল পর্যন্ত ১৭ রান তোলেন তিনি। ফলে জিততে দরকার দাঁড়ায় ৭ রান। ওভারের শেষ বলে ছয় মারলে ম্যাচ ড্র হবে কিন্তু শেষ হাসিটা জোটেনি মুশফিকদের কপালে। শেষ বলে রবি ফ্রাইলিঙ্ক এক রানের বেশি নিতে পারেননি। আর এতেই ৫ রানে হেরে যায় চিটাগং।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিষিদ্ধ ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্সের জার্সি গায়ে অভিষেকটা ভালো হয়নি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে তার দল। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিপিএলের সপ্তম ম্যাচে তার (ওয়ার্নার) এবং নিকোলাস পুরানের ফিফটিতে চিটাগং ভাইকিংসকে ১৬৯ রানের বড় লক্ষ্য দেয় সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ওভারে ১৬৮ রানে শেষে হয় চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস। মুশফিকদের ৫ রানে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় সিলেট।

সিলেটের দেওয়া ১৫০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের বলে মোহাম্মদ শাহজাদকে হারায় চিটাগং ভাইকিংস। তার বিদায়ের পর মোহাম্মদ আশরাফুলকে সঙ্গে নিয়ে ক্যামেরন দেলপোর্ট বড় স্কোরের চেষ্টা করেন। ৫৭ রানের পার্টনারশিপ করে রান আউট হয়ে ফিরেছেন দেলপোর্ট। যাওয়ার আগে দলের পক্ষে করেছেন ৩৮ রান।

দলীয় ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালে অধিনায়ক মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আশরাফুল। কিন্তু ব্যক্তিগত ২২ রান তাসকিনের কাছে বোল্ড আউট হয়ে ফিরেছেন আশরাফুল।

আশরাফুলের বিদায়ের পর দাঁড়াতে পারেননি মুশফিকও। ৫ রান করে মুশি ফিরে গেলে বাকিদের মধ্যে কেউই আর দলের হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেটে হারিয়ে বিপদে থাকা চিটাগংয়ের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা। কিন্তু তিনিও ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৩৭ রানে। তার বিদায়ের আগে ৭ রানে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন ফ্রাইলিঙ্ক। তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় স্কোরের দিকে এগোচ্ছিলেন রাজা। কিন্তু দলীয় ১৩১ রানে তাসকিনের বলে ফেভিলিয়নে ফিরেছেন সিকান্দার।

শেষের দিকে চরম নাটকীয়তায় ফ্রাইলিঙ্ক প্রায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারের শেষ বলে ইনিংসের ফলাফল বের হয়। পাঁচ রানে হারতে হয়েছে মুশফিকদের। তবে দলের পক্ষে ৪৪ রানের বড় স্কোর করেছেন ফ্রাইলিঙ্ক।

বল হাতে সিলেটের হয়ে তাসকিন পেয়েছেন ৪ উইকেট। আর দুটি উইকেট পেয়েছেন অলোক কাপালি।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানে ওপেনার লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। তবে ম্যাচে অজি তারকা ওয়ার্নারের ব্যাটে বড় স্কোর পায় সিলেট।

ওয়ার্নার ৪৭ বলে ৫৯ রান করেছেন মোটে ২ চার ও ১ ছয়ে। তবে ইনিংসের শুরু থেকে টিকে ছিলেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। তাতেই বেশ বড় সংগ্রহ গড়তে পেরেছে সিলেট। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংকে কাজে লাগিয়ে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন আফিফ ও পুরান। আফিফ ২৮ বলে ৪৫ রান করেন ৫ চার ও ৩ ছয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান পুরান ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। সমান ৩টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৫২ রান করেন এই বাঁহাতি।

চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ফ্রাইলিঙ্ক ৩টি ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং নাঈম হাসান পান একটি করে উইকেট।

এএপি