হাসান আরেফিন, ঝালকাঠি
দফায় দফায় বৃষ্টি আটকাতে পারেনি ঈদ উৎসবের বিনোদন প্রিয় মানুষগুলোকে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রতিদিন ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা বাজারে ছুটে আসছেন অসংখ্য পর্যটক। ঘুরে দেখেন ভাসমান হাট-বাজার আর পেয়ারার ঘন অরণ্য।
ঈদের পঞ্চম দিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মানুষের ঢল নামে দেশের অন্যতম এই ভাসমান মার্কেটে।
ঝালকাঠিতে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই অব্যাহত বৃষ্টি-বাদল চলছে। দফায় দফায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ জড়ো হয় ভিমরুলী, আটঘর ও কড়িয়ানা এলাকায়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বজনদের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে আসা মানুষের বিনোদনের অংশ ঝালকাঠির এ ভাসমান হাট।
শুক্রবার সকালে ভিমরুলী ভাসমান হাট ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে ভ্রমণ পিপাসুরা বেড়াতে আসেন ভিমরুলী গ্রামের ভাসমান পেয়ারা বাজারে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন আর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা এ ভাসমান পেয়ারা বাজারে আসেন নির্মল বিনোদন উপভোগে।
খালে বড় নৌকা নোঙর করে ছোট ছোট নৌকা আর মাঝারি ট্রলারে করে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ান ভিমরুলী খালের পানির হাটে।
কথা হয় ঢাকা থেকে ভাসমান পেয়ারা হাটে ঘুরতে আসা রিয়াজ মোর্শেদের সাথে তিনি জানান, ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা হাট সম্পর্কে জেনে বহুদিন ধরেই আসার ইচ্ছে ছিল। তাই ঈদে অফিস ছুটি পেয়ে চলে এলাম। ছবির মত সুন্দর এ ভাসমান বাজার। গ্রামের খাল ধরেই ছোট ছোট পেয়ারা পার্কেও বিনোদনের সময় কাটান অনেকেই।
বরিশালের কর্ণকাঠি থেকে আসা দর্শনার্থী সায়মা জামান বলেন, পেয়ারা বাগান নির্মল বিনোদনে একটি স্থান। ভ্রমণের পরিপূর্ণতা এনে দেয় এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি ছাড়াও বরিশাল এবং পিরোজপুরেও ভাসমান হাটবাজার রয়েছে। তবে ঝালকাঠির এ ভাসমান বাজারটি যেন তবে প্রকৃতির নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে। তাই সারা দেশের পর্যটকদের প্রথম পছন্দ এই ভিমরুলীর ভাসমান হাট-বাজার।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড