• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডিএনসিসি-সিলেট সিটি প্রকল্পের ‘মেয়াদ ও ব্যয়’ বৃদ্ধি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৩
ডিএনসিসি-সিলেট সিটি প্রকল্পের ‘মেয়াদ ও ব্যয়’ বৃদ্ধি
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা এবং সিলেট শহরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চলমান ‘আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পার্ট (ডিএনসিসি পার্ট)’ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক দফা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ল প্রকল্পের ব্যয়ও। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি এর ব্যয় ৬৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০১৫ সালে জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ছিল প্রকল্পটির মেয়াদকাল। যদিও মহামারি কোভিড-১৯ এর ভয়াল তাণ্ডবের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বেড়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে না পারায় সবশেষ একনেক সভায় এর প্রথম সংশোধনী আনা হয়।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪৬ কোটি টাকা। এরপর প্রথম সংশোধনীতে তা বৃদ্ধি করে ৮১২ কোটি ২২ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং বাকি ৭৯৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ঋণ থেকে পাওয়া যাবে।

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় ব্যয় ছিল ৭৪৬ কোটি টাকা। তা প্রথম সংশোধনীতে বাড়িয়ে ৮১২ কোটি ২২ লাখ টাকা করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়, ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার ও ডিএমআর নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ১৮টি গ্রিনফিল্ড টাওয়ারের নির্মাণকাজ সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (আরডিপিপি) নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ইকুইপমেন্ট ও আইসিটি ইকুইপমেন্ট আমদানির জন্য সিডি/ভ্যাট প্রদান, জিআইএস অঙ্গ সার্ভিস খাতে স্থানান্তর, নতুন ইকোনমিক কোড ব্যবহার, বিটিআরসি থেকে ফ্রিকোয়েন্সি ক্রয়, বাস্তবতার নিরিখে জনবলের বেতন-ভাতা, আইসিটি ইকুইপমেন্ট, অনিয়মিত শ্রমিক, বিজ্ঞাপন, ফার্নিচার, ইন্টারনেট/ফ্যাক্স, সেমিনার/কনফারেন্স ব্যয় এবং পরামর্শক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিল, ডাক, বই/জার্নাল, অফিস ভাড়া, ভ্রমণ ব্যয়, প্রশিক্ষণ, প্রিন্টিং/বাইন্ডিং, গ্যাস/ফুয়েল, স্টেশনারি/সিল খাতে ব্যয় হ্রাস ইত্যাদি কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঢাকা ও সিলেট শহরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সক্ষমতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা শহরে দুটি ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার এবং ১০টি জোন অফিসে স্যাটেলাইট কন্ট্রোল সেন্ট্রাল রুম প্রতিষ্ঠা, সিলেট শহরে একটি ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার নির্মাণ, ঢাকা-সিলেট শহরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য ফিক্সড মোবাইল ইমারজেন্সি কমান্ড এবং কন্ট্রোল রুম, লাইফ সেভিং ইকুইপমেন্ট, আইসিটি, ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যাসেট রাখার জন্য ওয়ার হাউজেস নির্মাণ, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হলো- ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার ও ডিএমআর নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ১৮টি গ্রিনফিল্ড টাওয়ার নির্মাণ, স্যাটেলাইট ও কন্ট্রোল অফিস নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ক্রয়, ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সেটআপসহ ওয়ার হাউজ নির্মাণ, কমিউনিকেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আইসিটি সেলের যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন, পরামর্শক নিয়োগ, স্যাটেলাইট/ফ্রিকোয়েন্সি ক্রয়, লাইসেন্স ফি, সিডি/ভ্যাট, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন ফি, ব্যাংক/বিমা চার্জ, কমিশন, টেস্টিং ফি দেওয়া প্রভৃতি।

বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকা ও সিলেট শহরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের সক্ষমতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা শহরে দুটি ও সিলেট শহরে একটি ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার এবং ১০টি জোন অফিসে স্যাটেলাইট কন্ট্রোল সেন্ট্রাল রুম নির্মাণ, আইসিটি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য ফিক্সড মোবাইল ইমারজেন্সি কমান্ড ও কন্ট্রোল রুম, লাইফ সেভিং ইকুইপমেন্ট, ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যাসেট রাখার জন্য ওয়ার হাউজেস নির্মাণ প্রভৃতি।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ‘স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন কৌশলে’ সিটি করপোরেশনের জন্য যেসব উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়মিত করণ, বিনিয়োগ-সহায়ক টেকসই নগর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা। এর মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক সংযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সিটি করপোরেশনগুলোর সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনা উন্নতীকরণ।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএমআর নেটওয়ার্ক স্থাপন, ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সেটআপসহ অপারেটিং সেন্টার ও ওয়ার হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে এবং ঢাকা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিবেচনায় প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।

ডিএমআর নেটওয়ার্ক স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট শহরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম ও ওয়ার হাউজ নির্মাণসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় সংশোধন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার এবং ১০টি জোন অফিস (স্যাটেলাইট কন্ট্রোল রুম) পাওয়া যাবে। ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন : দেশ থেকে দূর করতে হবে সব মাকাল ফল

উল্লেখ্য, ডিএমআর নেটওয়ার্ক স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট শহরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য ইমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম এবং ওয়ার হাউজ নির্মাণসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ জন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় সংশোধন করা হয়েছে বলে মোট মামুন-আল-রশিদের।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড