• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘গৃহ কারাগার’-এর নবম পর্ব

ধারাবাহিক গল্প : গৃহ কারাগার

  ফখরুল হাসান

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:২৪
গল্প
ছবি : প্রতীকী

প্রিন্স খুব ফাঁকিবাজ তবে অনেক ব্রিলিয়ান্ট। পড়ানো শুরু করার পরেই বুঝতে পারলাম, প্রিন্স এর টিউটার এত ঘন ঘন চেঞ্জ হয় কেন! ছেলেটা একের পরে এক প্রশ্ন করতেই থাকে। তবে আমিও বেশ ধৈর্য্য ধরে প্রশ্নের উত্তর দেই, বকা ঝকা করি না। ও গল্প করতে চাইলে গল্প করি। এক ঘন্টা করে পড়ানোর কথা, বেশিরভাগ সময়েই পড়া শেষ করতে করতে সাড়ে নয়টা বেজে যায়।

রাত বেশি হয়ে গেলে প্রিন্স এর আম্মু না খেয়ে যেতে দেন না। যেহেতু উনি মেহেরুনের খালা তাই আমারো আন্টি ডাকা উচিত কিন্তু এতো ইয়ং যে উনাকে আন্টি ডাকতে লজ্জা লাগে। উনাকে দেখলে কেউ বলবে না যে উনার এতো বড়ো একটা ছেলে আছে। মেরে কেটে উনার বয়স চব্বিশ পার করানো যাবে না। কিন্তু যেহেতু উনার এতো বড়ো একটা ছেলে আছে সেহেতু নিশ্চয়ই ত্রিশ কি বত্রিশ হবে উনার বয়স।

আমি উনাকে কোনোরকম সম্বোধন না করেই কথা বলার চেষ্টা করলাম। এতো দিন ধরে প্রিন্সকে পড়াচ্ছি, এখনো ওর বাবাকে দেখলাম না! একদিন ফস্ করে জিজ্ঞেসই করে বসলাম, ‘প্রিন্স, তোমার আব্বুকে তো একদিনও দেখলাম না। উনি বুঝি অনেক রাতে বাসায় ফেরেন?’

প্রিন্স সাথে সাথে বই বন্ধ করে বলে, ‘না স্যার, আব্বু তো সরকারি বড় অফিসার উনাকে ম্যাক্সিমাম সময়ই ঢাকার বাহিরে থাকতে হয়। তবে আব্বু ছুটি পেলেই চলে আসে। এক মাস পর পর আসেন, দুই একদিন থাকেন, আবার চলে যান। এবার দুইমাস পার হয়ে গেলো তাও আব্বু আসছে না। জানিয়েছেন আব্বুর ওখানে নাকি বিশাল সমস্যা আছে। আসতে আরো দেরি হবে তাছাড়া আব্বুর হার্টের সমস্যা ডায়াবেটিস তাই জার্নি সমস্যা।’

এখন বুঝতে পারলাম প্রিন্সের আম্মু সবসময় এতো উদাস থেকে কেন। বিয়ে হবার পর, বেশিরভাগ সময়টাই মহিলার হয়তো এভাবে একা একা কাটাতে হয়েছে।

(চলবে...)

‘গৃহ কারাগার’-এর অষ্টম- ধারাবাহিক গল্প : গৃহ কারাগার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড