উলুল অন্তর
আমার চারপাশের মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রাকে আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করি। তাদের প্রত্যেকের জীবন কতই না বৈচিত্র্যময়, কত ঘটনাবহুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজে সক্রিয়তার সুবাদে আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহানগরীতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে আসা শিক্ষার্থীদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমি তাদের সাথে মিশি, তাদের গল্প শুনি আর সেগুলো মস্তিষ্কে টুকে রাখি।
কীভাবে বেঁচে আছে এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণরা? কেমন চলছে তাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা? ছাত্র রাজনীতির হালহকিকতই বা কী? কেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী স্বপ্নের ক্যাম্পাসে এসে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে? অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কেন একাডেমিক পড়াশুনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে? কেন সব হারিয়ে নিজেকে খুঁজছে মাদকের ধুম্রজালে? তবে কি সবকিছু শেষ হয়ে গেল? নাকি রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতই পুনরুত্থান ঘটবে? নতুন সূর্য কি আসবে?
আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি এই প্রশ্নগুলোরই জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছি। আর এই অনুসন্ধান করে পাওয়া জবাব নয়, বরং গল্পগুলো মিলিয়েই লিখেছি সূর্যসারথি।
লিখতে বসেছিলাম একটা প্রেমের উপন্যাস। কিন্তু আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা, চারপাশের অধিকার বঞ্চিত মানুষের আর্তনাদ আমার হাতে শেকল পড়িয়ে দেয়। এই শেকল ভাঙতে আমাকে রাজনীতির কাছে যেতেই হয়। রাজনীতিই আমাদের জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে।
আমার উপন্যাসের তাই রাজনীতির গল্প আসবেই। উভয় ধারার ছাত্র রাজনীতিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমি কোনো মানুষ, তার জীবনযাত্রা কিংবা ধর্মীয়/রাজনৈতিক মতাদর্শের খুঁত ধরতে বসিনি।বরং নিজের চোখে দেখা গল্পগুলোই স্বল্পসংখ্যক চরিত্রের মধ্যে ফেঁদে মলাটবদ্ধ করেছি।
আমার বিশ্বাস সূর্যসারথি উপন্যাসটি আয়নার মত, যার দিকে তাকিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণরা নিজেদের খুঁজে পাবে।
সূর্যসারথি আমার প্রথম উপন্যাস। বলা চলে একেবারে কাঁচা হাতের লেখা। বিশেষ করে ভাষার দুর্বলতা আমার কাছেই স্পষ্ট। তবুও কয়েকজন শ্রদ্ধেয় লেখকের পরামর্শে বইটি প্রকাশ করলাম। আরেকটি কারণ হচ্ছে আমার মাথায় সারাক্ষণ ঘুরপাক খাওয়া গল্পগুলো মানুষকে না বলে থাকতে পারছি না। ভিতরের না বলা কথাগুলো সবার সমানে তুরে আনলাম সেঁচে সূর্যসারথির পৃষ্ঠা জুড়ে।
আরও পড়ুন- মর্মন্তুদ জীবন-বেদনার গল্প ঘানি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড