আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকার একটি গুহায় লুকিয়ে থাকা এক পলাতক কয়েদিকে গোয়েন্দা ড্রোনের সাহায্যে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
৬৩ বছর বয়সী সং জিয়াং নামে এই কয়েদি মূলত নারী ও শিশু পাচারকারী দলের সদস্য। ২০০২ সালে তাকে এই অপরাধে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও এর কিছুদিন পর তিনি কারারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর পুলিশের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাকে ড্রোন দিয়ে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের বরাতে চীনা বার্তা সংস্থা ‘সিনহুয়া’ জানায়, কারাগার থেকে পালিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল এই কয়েদি। এমনকি সে দীর্ঘকাল মানবসভ্যতা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পাহাড়ের সরু গুহায় মধ্যে বসবাস করতে থাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ইয়াংসান পুলিশের কাছে তার এই পাহাড়ে লুকিয়ে থাকার বিষয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য আসে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে গত সোমবার এক প্রতিবেদনে ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের নিজ শহরের পেছনে থাকা পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছেন সং জিয়াং। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিনের অভিযানের পরও তাকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
পাহাড়ি গুহায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃত কয়েদি। (ছবিসূত্র : বিবিসি নিউজ)
তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা ড্রোন পাঠায়। ড্রোনগুলো পাহাড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের পাশে এক ফালি নীল রঙের ছাউনি আবিষ্কার করে। এ সময় পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে গুহা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ড্রোনের সাহায্য ছাড়া কখনোই এই গুহাটির আবিষ্কার সম্ভব ছিল না বলে দাবি অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের।
আরও পড়ুন :- প্রকাশিত হলো সৌদি সেনাবহরে হুথিদের রুদ্ধশ্বাস হামলার ভিডিও
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জিয়াং পাশের নদী থেকে প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভরে এনে তা পান করতেন এই কয়েদি। এমনকি গুহার ভেতরের পরিবেশ গরম রাখার জন্য তিনি গাছের শুকনো ডাল-পাতা দিয়ে আগুন জ্বালাতেন এবং খাবারের জন্য পাহাড়ি ফল ও পশু শিকার করাই ছিল তার প্রধান কাজ।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড