• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যুদ্ধের প্রস্তুতি স্বরূপ অস্ত্রভাণ্ডারে ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করল ইরান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৮
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানি অস্ত্রভাণ্ডারে প্রদর্শিত হচ্ছে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। (ছবিসূত্র : দ্য চায়না ডেইলি)

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারে আবারও নতুন করে অতিরিক্ত ১৮টি দূরপাল্লার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো সংযুক্ত করা হয়েছে। যা মূলত অঞ্চলটিতে বিদ্যমান সংঘর্ষ সমাপ্তির কাজে ব্যবহার করা হবে বলে দাবি তেহরানের।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইরানি প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানী তেহরানসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রদেশে আয়োজিত কুচকাওয়াজে সমরাস্ত্রগুলো উন্মোচিত হয়। ইরানের ওপর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিধ্বংসী আক্রমণ ও তেহরানের প্রতিরোধ যুদ্ধের স্মরণে প্রতি বছর দেশব্যাপী এই 'পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ' পালন করা হয়।

সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম 'দ্য মিডল ইস্ট মনিটরে'র খবরে বলা হয়, এদিন 'কাদের', 'এমাদ', 'সেজ্জিল', 'খোররামশাহর' ও 'কিয়াম'সহ ইরানি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ১৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

গণমাধ্যমের দাবি, এবারের কুচকাওয়াজে 'হেইল' নামে একটি স্বল্প উচ্চতার আর্টিলারি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও উন্মোচন করা হয়।

একই সঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি 'পাওয়ার-৩৭৩’ নামে সহজে বহনযোগ্য আরও একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করেছে ইরান। যা রাশিয়ার 'এস-৩০০' আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার সমকক্ষ বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। মূলত এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র 'সায়্যাদ' উৎক্ষেপণ করা হয়। 'পাওয়ার-৩৭৩' প্রায় তিনশ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। তাছাড়া এটি অনেক দূরে থাকতেই শত্রুদের বিমান শনাক্ত করতে পারে এবং তাৎক্ষণিক আঘাত হানতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের হরমুজ প্রণালীসহ উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই তেহরানের মূলত এই পদক্ষেপ। যাকে আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখছে অনেকে। যেখানে তারা নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো ব্যবস্থা সংযুক্ত করতে চাইছে।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অপরিশোধিত তেল শোধনাগার 'আরামকো কোম্পানি'র দুটি বৃহৎ স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহীরা। মূলত এ ঘটনায় এরই মধ্যে একের পর এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও এর জন্য দেশের সার্বিক তেল ও গ্যাস উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে এরই মধ্যে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে হামলার পর হুথি বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইরানকেই দায়ী করে আসছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগটি ইতোমধ্যে অস্বীকার করেছে তেহরান।

আরও পড়ুন :- আমরা খুব সহজেই ইরান দখল করতে পারি : ট্রাম্প

অপর দিকে গত শুক্রবার ওভাল অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন বলেছেন, 'তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি হচ্ছে ইরানের অর্থের সর্বশেষ উৎস। যা ভীষণ বড়। এবার আমরা দেশটির অর্থের সকল উৎসকেই বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি।'

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড