বাংলাদেশসহ তিন দেশে অর্থায়ন করছেন ট্রাম্প

এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দেশ চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকায় ৩ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক অর্থায়ন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে দেশটির কংগ্রেসে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সাব-কমিটিতে ‘ইউএস ইন্টারেস্ট ইন সাউথ এশিয়া অ্যান্ড দ্য এফওয়াই ২০২০ বাজেট’ শীর্ষক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অ্যালিস জি ওয়েলস এই অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি তুলে ধরেন।

জি ওয়েলস তার লিখিত বিবৃতিতে বলেন, 'বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপের সমুদ্রাঞ্চল ও তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য মোট ৩ কোটি ডলার বরাদ্দের অনুরোধ জানাচ্ছি। এটা মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষার্থে নেওয়া নতুন সহযোগিতা প্রকল্পের অংশ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সকল অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি, ডিজিটাল সংযোগ ও সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য আরও ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তায় অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানাচ্ছি।'

জি ওয়েলস এও বলেছেন, 'ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থায়ন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ আর্থিক বর্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ ৪৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দের জন্য অনুমোদন চাচ্ছি। যার মধ্যে ভারত ও মালদ্বীপের উন্নয়ন তহবিলও রয়েছে। এটি ২০১৯ সালের তুলনায় মোট বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।'

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা কখনই আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোকে চীনা ঋণের ফাঁদে পড়তে দিতে পারি না।’ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে কেবল বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেশটির বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রায় ১৭ কোটি লোকের বাস এবং তাদের জিডিপি সব সময় ৬ শতাংশের বেশি থাকে।'

বাংলাদেশের গত নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়েলস বলেন, 'বাংলাদেশে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এবং নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিরোধীদের গণতন্ত্র চর্চার পথ রুদ্ধের ব্যাপারে আমরা সব সময়ই প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছি। প্রত্যেক বৈঠকেই আমরা এ ব্যাপারে বিস্তর আলোচনা করেছি।'

আরও পড়ুন :- কঙ্গোয় ইবোলার প্রাদুর্ভাব : ১০ মাসে ১৪শ লোকের মৃত্যু

এ সময় প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন তিনি। ২০১৭ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএইডের মাধ্যমে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৪৫১ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করেছে।

ওডি/কেএইচআর