• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইয়েমেনে সেনাবাহিনী সঙ্গে হুথি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ৫০

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২৬
ইয়েমেনে সেনাবাহিনী সঙ্গে হুথি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ৫০
সংঘর্ষে লিপ্ত হুথি বিদ্রোহীরা (ছবি : আল-জাজিরা)

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনের মধ্যাঞ্চলীয় আল-বায়েদা প্রদেশে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ও ইরানের সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হুথি বিদ্রোহীদের একটি দল আল-বায়েদা প্রদেশে প্রবেশ করেছিল। সেখানে যৌথ বাহিনীর সেনা সদস্যদের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘাত হয়েছে। মূলত সেই সংঘাতে একজন কর্নেলসহ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হুথি বিদ্রোহীদের তরফ থেকেও প্রাণহানি ঘটেছে। আমরা যতদূর জেনেছি, এবার ৩০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের দখল গ্রহণের পর এবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের দখল নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। একই সঙ্গে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মারিব শহর, যেটি যৌথ বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি এবং এখন পর্যন্ত হুথি বাহিনীর দখলে আসেনি। সেই শহরটি করায়ত্ত করতেও তারা জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন : টাইমসের একশ প্রভাবশালীর তালিকায় বারাদার

বিশ্লেষকদের মতে, ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। অপর দিকে উত্তরাঞ্চল এরই মধ্যে দখল করে নিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। ওই অঞ্চলের একমাত্র শহর মারিব, যার দখল এখনো নিতে পারেনি তারা।

গেল ফেব্রুয়ারি মাসে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথি বিদ্রোহীরা। যদিও সেবার বিপুল সংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েকমাস স্থগিত ছিল তাদের সেই শহর দখলের অভিযান।

এরই মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনের মারিবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। মূলত এই মানুষরাই নতুন সংঘাতের কেন্দ্রে চলে এসেছেন।

আরও পড়ুন : ভারত থেকে বাংলাদেশে ছুটছে ইলিশের ঝাঁক

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

যদিও এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসক সংগঠন সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং একদা সচ্ছল এই দেশটি।

আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে এলো প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তালেবানের চরম দ্বন্দ্ব

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

সূত্র : এএফপি

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড