'হালাল সার্টিফিকেট' পাচ্ছে চীনের করোনা ভ্যাকসিন!

চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকাকে হালাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে ১২ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে সিনোভ্যাক। এই টিকাকে হালাল ফতোয়া দিতে সুপারিশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ আলেমদের সংগঠন।

বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে টিকা গ্রহণের অনুমোদনের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট প্রদান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এসোসিয়েট প্রেসের।

ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রী মুহাদজির এফেন্দি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দেশের ওলামা কাউন্সিল হালাল পণ্য গ্যারান্টি এজেন্সি এবং খাদ্য, ওষুধ ও কসমেটিকস মূল্যায়ন ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা সমাপ্ত হয়েছে। এর পরই টিকা গ্রহণের ফতোয়ায় হালাল সার্টিফিকেট তৈরির জন্য কাউন্সিলে জমা দেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিনোভ্যাকের তৈরি এক মিলিয়নেরও বেশি করোনা টিকার পরীক্ষামূলক ডোজ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে। তবে কবে থেকে এই টিকা প্রদান শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ইন্দোনেশিয়া সরকার।

আরও পড়ুন : ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেরাওয়ান আগুস পুত্রন্টো বলেছিলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনটি ইন্দোনেশিয়ায় বিতরণ করার আগেই সফলভাবে ফেজ-থ্রি ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী পাস করলে এবং নিরাপদ প্রমাণিত হলেও টিকা বিতরণ করা হবে।

ইন্দোনেশিয়ান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সমিতির হার্মাওয়ান সাপুত্রা বলেছেন, ১২ লাখ ডোজ টিকা মাত্র ৬ লাখ মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে। যদিও এটি যথেষ্ট নয়। বরং সারা দেশে টিকা বিতরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে বিপাকে ট্রাম্প!

সাপুত্রার মতে, পরীক্ষামূলক টিকাটি যদি তৃতীয়-পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে পাস করে, সেক্ষেত্রে টিকাদান কর্মসূচি আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।