• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ চীনের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:০৬
সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ চীনের
যুদ্ধরত সেনা সদস্যরা (ছবি : প্রতীকী)

এশিয়ার পরাশক্তি চীন নিজেদের সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে নতুন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আর সেই কারণেই বেইজিং সরকার বায়োলজিক্যাল পদ্ধতিতে সেনাদের মধ্যে ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে দেশটির গোয়েন্দা প্রধান চীন ইস্যুতে নিজের ও তার সংস্থার অবস্থান খোলাখুলি প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর বেশকিছু অভিযোগও এবার তুলে ধরেছেন তিনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় দীর্ঘ এক লেখায় জন রেক্টক্লিফ বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন “গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি” হিসাবে দেখা দিয়েছে।

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জন রেক্টক্লিফ সতর্ক করে বলেছিলেন, চীন এখন আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার। তিনি জানান, বেইজিং চায় আমেরিকাকে দমিয়ে রাখতে। এ কারণে বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে, সেনা দিয়ে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাহায্য করছে দেশটি।

জন রেক্টক্লিফের মতে, মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছে যে চীন তাদের সেনাদের বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করাচ্ছে এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির যারা সদস্য তাদের বৈজ্ঞানিকভাবে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের’ জন্য চীন সবচেয়ে বড় হুমকি বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগ। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন রেক্টক্লিফ অভিযোগ করেন, বেইজিং নিজেদের সামরিক শক্তিকে উন্নত করতে মার্কিন প্রযুক্তি চুরি করছে।

আরও পড়ুন : ইয়েমেনি হুথি যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য চীনকে সবচেয়ে বড় হুমকি চিহ্নিত করে বেইজিংকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন এই শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তার দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ নিশ্চিত যে আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত খাতে আধিপত্য বিস্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্য পরাজিত ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু এখনো চীনকে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে আক্রমণ করে আসছেন। এবার সেই কাতারে যোগ দিলেন এই মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান।

চীনের প্রতিক্রিয়া

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের লেখা নেহাতই “স্পর্শকাতর একটি শিরোনাম” এবং কোনো কথারই কোনো প্রমাণ রেক্টক্লিফ দেননি।

আরও পড়ুন : পারমাণবিক কেন্দ্র থাকায় টাইম বোমায় পরিণত আর্মেনিয়া

চীনা মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করি মার্কিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা সত্যকে মর্যাদা দেবেন, ভুয়া সংবাদ তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করবেন। রাজনৈতিক ভাইরাস এবং মিথ্যা ছড়িয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করার প্রয়াস বন্ধ করবেন। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড