• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হামাসকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে গাজায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ইসরায়েলের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩০
হামাসকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে গাজায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ইসরায়েলের
গাজায় গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে (ছবি : দ্য জেরুজালেম পোস্ট)

টানা অষ্টম রাতের মতো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট ও বেলুন হামলার অভিযোগ এনে যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণের মাধ্যমে এই আগ্রাসন চালানো হয়।

এ দিকে গাজার শাসক দল হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি তেল আবিবের। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই ব্যর্থতা যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে ২০১৮ সালে গাজার ইসরায়েলি সীমান্তে তীব্র বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা। ওই বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ত্র হিসেবে বিস্ফোরক বাধা বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার দেখা যায়।

এতে ইসরায়েলের বেশ কিছু খামার ও বসতিতে আগুন ধরে যায়। এসব বেলুন ও ঘুড়ি পাঠানোর জন্য গাজা উপত্যকার নির্বাচিত শাসকগোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করে থাকে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহার বেড়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতির মাধ্যমে বলছে, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য বিমানের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় হামাসের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। আজ রাতে আরও আগের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয় এবং দিনের বেলা গাজা উপত্যকা থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয় বেলুন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পাঠানো হয়। মূলত এর জবাবে গাজা উপত্যকায় চালানো হামলায় হামাসের বিশেষ একটি সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : চুক্তির পর নতুন টোপ নিয়ে আমিরাতে হাজির ইসরায়েলের মোসাদ প্রধান

হামাসের নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হামাসের কাসেম ব্রিগেডের কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় হামাসের সামরিক শাখাটির নিরাপত্তা অবস্থানের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারবে তুরস্ক?

গত এক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকা ঘিরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলি আগ্রাসনের তোপে বন্ধ গাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন

অপর দিকে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেশ কয়েক জন অগ্নিনির্বাপণ কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন। বলা হচ্ছে, এই কর্মীরা মঙ্গলবার ফিলিস্তিন থেকে পাঠানো বেলুন থেকে সৃষ্ট ৪০টি অগ্নিকাণ্ড নেভাতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুন : দিল্লিতে তাজিয়া মিছিল না হলে গণেশ পূজাও প্রকাশ্যে নয়

কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রিভলিন বলেন, আগ্নেয় বেলুন ও ঘুড়ির মাধ্যমে চালানো সন্ত্রাস অন্য যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের মতো আরেকটি সন্ত্রাস। হামাসের জানা উচিত এটা কোনও খেলা নয়। এমন সময় আসবে যখন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে... যদি তারা যুদ্ধ চায় তাহলে তারা যুদ্ধই পাবে।

আরও পড়ুন : চীনের নতুন অস্ত্র প্রযুক্তি উন্মোচন, হতভম্ব ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড