আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ইসরায়েল। ফলে আঙ্কারা ও তেল আবিবের মধ্যকার সম্পর্কে তৈরি হয়েছে বড় ফাটল। বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে তুরস্ক। এ কারণে শঙ্কিত তেল আবিব।
ইসরায়েল মনে করে, বিশ্বের দুটি দেশ সরাসরি তাদের ওপর হামলা চালিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চায়। এই দুটি দেশ হলো ইরান ও তুরস্ক। ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা পদক্ষেপ নিয়ে আসলেও এতদিন তুরস্কের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ইসরায়েলি প্রশাসন। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে তুরস্ককে কালো তালিকাভুক্ত করে তারা।
কালো তালিকাভুক্ত এর অর্থ হলো- তুরস্ককে এখন নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল। এ কারণে আঙ্কারাকে রুখতে বিভিন্ন ধরনের কৌশলও গ্রহণ করছে দেশটি। চলমান পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলেও মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
আরও পড়ুন : ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তি দেখিয়ে বিধ্বংসী অস্ত্রবিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
এক্ষেত্রে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সামরিক শক্তি অবধারিতভাবে আলোচনায় চলে আসে। অবশ্য সর্বশেষ সামরিক পরিসংখ্যান তুরস্কের হয়েই কথা বলছে। বৈশ্বিক সামরিক ক্ষমতা বিশ্লেষণকারী সংস্থা গোব্লাল ফায়ারপাওয়ার বলছে, বর্তমানে সামরিক ক্ষমতায় ইসরায়েলের চেয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে আছে তুরস্ক। সংস্থাটির ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক ক্ষমতার তালিকায় তুরস্কের অবস্থান ১১ নম্বরে এবং ইসরায়েলের অবস্থান ১৮ নম্বরে।
আরও পড়ুন : বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবাননকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ইসরায়েল
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হিসাব বলছে, তুরস্কের স্থলবাহিনীতে ২ হাজার ৬২২টি ট্যাংক, ৮ হাজার ৭৭৭টি সাঁজোয়া যান, ১ হাজার ২৭৮টি সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি, ১ হাজার ২৬০টি টোড আর্টিলারি ও ৪৩৮টি রকেট প্রজেক্টরস আছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ২ হাজার ৭৬০টি ট্যাংক, ১০ হাজার ২৭৫টি সাঁজোয়া যান, ৬৫০টি সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি, ৩০০টি টোড আর্টিলারি ও ১০০টি রকেট প্রজেক্টরস আছে।
আরও পড়ুন : দক্ষিণ চীন সাগরে বিধ্বংসী সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের, উদ্বিগ্ন বেইজিং
নৌবাহিনীতে তুরস্কের ১৬টি ফ্রিগেট, ১২টি সাবমেরিন, ৩৫টি টহল যান ও ১১টি মাইন ওয়ারফেয়ার আছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের নৌবাহিনীতে শুধু ৫টি সাবমেরিন ও ৪৫টি টহল যান আছে। তুরস্কের বিমানবাহিনীতে রয়েছে ২০৬টি যুদ্ধবিমান, ২৭৬টি প্রশিক্ষণ বিমান, ৪৯৭টি হেলিকপ্টার ও ১০০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। অন্যদিকে ইসরায়েলের ২৫৯টি যুদ্ধবিমান, ১৫৪টি প্রশিক্ষণ বিমান, ১৪৬টি হেলিকপ্টার ও ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরি মারল আমিরাত
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, সামরিকবাহিনীর সব ক্ষেত্রে ইসরায়েলের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে তুরস্ক। অবশ্য সামরিক ক্ষমতার এই তালিকা করতে পারমাণবিক অস্ত্রের হিসাব বিবেচনায় নেয়নি গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড