• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এবার বেকারত্বের রেকর্ড গড়ল ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:১৫
চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন
ভারতে চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন। (ছবিসূত্র : দ্য ন্যাশনাল)

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতে এবার হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে বেকারত্বের হার। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশটিতে বেকারত্বের এই হার গত তিন বছরের যেকোনো রেকর্ডকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি নামে একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে আচমকা এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি উঠে আসে।

সংস্থাটির পাঠানো রিপোর্টের বরাতে গণমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ জানায়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশটিতে বেকারত্বের এই হার প্রায় ৮.৫ শতাংশ। যা বিগত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের পর ভারতে এমন খারাপ অবস্থা আর কখনো হয়নি। এমনকি দেশটিতে নোট বাতিলের সময়ও বেকারত্ব এই পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেনি। এ বছর উৎসবের মাস হিসেবে পরিচিত অক্টোবরেই দেশটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। আর সেই মাসেই কিনা বহু লোক তাদের কর্ম হারিয়েছেন।

এ দিকে ভারতীয় অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার কারণেই এই বেকার সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। জিএসটি এবং নোট বাতিলের প্রেক্ষিতে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে বিশাল পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে, এবার তার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে। যে কারণে সাধারণ জনগণের হাতে এখন আর নগদ অর্থের জোগান নেই, ফলে বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদাও নেই।

মূলত সেই চাহিদা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদনের মাত্রাও কমাতে শুরু করেছে। ফলে চাকরিচ্যুত হচ্ছেন অসংখ্য লোক। একই সঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ছোট ছোট দোকানদাররাও। যদিও এমন গভীর সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা অতি নগণ্য। প্রকৃত অর্থে সেক্ষেত্রে বলার মতো তেমন কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো শাসক দলের সরকারি নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন; যে এই আর্থিক মন্দার তত্ত্বকে পুরোপুরি অস্বীকার করতে।

অপর দিকে ‘সেন্টার ফর সাস্টেনেবল এমপ্লয়মেন্ট’ শিরোনামে করা একটি গবেষণাপত্র এরই মধ্যে জনসম্মুখে এনেছেন সন্তোষ মেরহোত্রা ও যজাতি কে পারিদা নামে দুই স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ। গবেষণাপত্র তাদের দাবি, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত গোটা ভারতবর্ষে ইনকামের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৯০ লাখ মানুষের। এমনকি ইউপিএ (সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা) সরকারের শাসনামলের শেষ ৩ বছর এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের প্রথম ৪ বছরও এ কাজের জন্য সমানভাবে দায়ী।

আরও পড়ুন ;- কাশ্মীরে নবযুগের সূচনা, দাবি মোদীর

কেবল তাই নয়, গত ৩ বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে মানুষের আয়ের সুযোগ কমে অনেকটাই নিচে নেমে গেছে বলেও গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়। যদিও অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের মতে, এখন যেভাবে লোকজন তাদের কর্ম হারাচ্ছেন তাতে ভারতের অর্থনৈতিক মোড় ঘোরানো সামনে আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড