• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আপনি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত নন তো?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪২
বাইপোলার ডিজঅর্ডার
ছবি : প্রতীকী

মানসিক অসুখ নিয়ে আমরা সবাই একটু কম সচেতন থাকি। আর বিশেষ করে বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এর প্রকোপ অনেক বেশি হলেও মানুষের এ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব অনেক। অনেকেই বাইপোলার ডিজঅর্ডারের সাথে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডারকে মিলিয়ে ফেলেন। চিকিৎসকের জন্যও অনেক সময় এই দুটো সমস্যার পার্থক্য খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনি কোন সমস্যায় ভুগছেন? বাইপোলার ডিজঅর্ডার, নাকি অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার? কীভাবে বুঝবেন যে এমন কোনো সমস্যায় আপনি ভুগছেন কি না? চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-

লক্ষণ-

সাধারণত, বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং এটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার- এই দুটো সমস্যারই লক্ষণ অনেকটা একরকম। বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে একজন মানুষ অনেক বেশি মুড সুইং বা আবেগীয় পরিবর্তনের সম্মুখীন হন।

হতাশা, খারাপ লাগা- সমস্যার ওপরে ভিত্তি করে এমন নানারকম এপিসোডে আক্রান্ত হন তারা। অন্য দিকে, এটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে একজন মানুষ অতিরিক্ত কর্মপ্রবণ হয়ে পড়েন। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারেন না।

বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সমস্যা অনুভব করবেন আপনি। বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মোট দুইটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপে ব্যাপারটি খুব একটা ক্ষতিকর হয় না এবং এর লক্ষণও খুব বেশি দেখা যায় না। অন্য দিকে, দ্বিতীয় ধাপে একজন মানুষ প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়েন এবং তার মধ্যে নিন্মোক্ত লক্ষণ, এই যেমন-

● হতাশ বোধ করা ● স্বাভাবিক আনন্দময় কাজে আনন্দ খুঁজে না পাওয়া ● কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলা ● অবসাদ এবং দূর্বলতা অনুভব করা ● ঘুম না হওয়া বা অতিরিক্ত ঘুমানো ● খুব দ্রুত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পরা ● অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ● কোন কিছু মনে না রাখা ● আত্মহত্যাপ্রবণতা

হুট করে অ্যাটাক হলে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি-

● হুট করে খুব অন্যরকম ও অতিরিক্ত কোনো আবেগ অনুভব করা ● কার্যক্ষমতা বেড়ে যাওয়া ● ঘুমানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া ● অনেকগুলো ব্যাপারে একইসাথে চিন্তা করা ● একই ব্যাপারে না ভাবতে পারা ● স্বাভাবিকের বাইরে কোনো কাজ করা, এই যেমন- অতিরিক্ত কেনাকাটা করা ইত্যাদি

এই ব্যাপারটি মাঝেমধ্যেও হতে পারে, আবার খুব দ্রুত ঘটতে পারে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে এমন সমস্যা দেখা দিলে সেটাকে ‘র‍্যাপিড সাইকেল’ বলা হয়।

অন্য দিকে, এটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার দেখা দিলে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে-

● অতিরিক্ত করা বলা ● বিশ্রাম নিতে না পারা ● হাত পা থামিয়ে না রাখতে পারা ● শান্ত না থাকতে পারা ● অতিরিক্ত কর্মক্ষম থাকা ● কোনো নির্দিষ্ট ব্যাপারে মনোযোগ না দিতে পারা ● দিবাস্বপ্ন দেখা ● দৈনন্দিন কাজগুলোকে ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরীক্ষা করবেন কীভাবে?

মানসিক চিকিৎসকের কাছে গেলেই এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অনেকটা সময়ের দরকার হতে পারে। চিকিৎসক কয়েক ধাপে চিকিৎসা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন যে আপনার কোন সমস্যাটি হয়েছে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন সমস্যা আর কারো ছিল কিনা সেটাও চিকিৎসকের জানার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ছাড়াও একই লক্ষণ দেখা দিতে পারে-

● ঘুমের সমস্যা ● থাইরয়েডের সমস্যা ● অ্যানজাইটি ডিজঅর্ডার ● হতাশা ● কোন ওষুধের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণেও

একবার আপনার সমস্যার কারণটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলে তারপর সেই অনুযায়ী চিকিৎসকেরা চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

বাইপোলার ডিজঅর্ডার মোটেও ভয়াবহ কোনো সমস্যা নয়। তবে একটু একটু করে ভয়াবহ কোনো আকার নিতে পারে এই সমস্যাটি। আর সেজন্য দরকার আগে থেকেই সতর্কতা। এমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে, সেটা বাইপোলার ডিজঅর্ডার হোক বা এটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার হোক, দ্রুত চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিন

সূত্র- মেডিকেল নিউজ টুডে।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড