• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টিভিতে পাঠদানে শিক্ষার্থীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন

  শিক্ষা ডেস্ক

০২ এপ্রিল ২০২০, ১৩:১১
পাঠদানে সমস্যা
সংসদ টেলিভিশন (ছবি : সংগৃহীত)

ছুটিতে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য গত রোববার থেকে সংসদ টিভিতে শুরু হয়েছে ডিজিটাল পাঠদান। প্রথম দিন ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, সপ্তম শ্রেণির আইসিটি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, অষ্টম শ্রেণির গণিত, ইংরেজি এবং নবম শ্রেণির গণিত, আইসিটি বিষয়ের ক্লাস প্রচার করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব ক্লাস দেখানো হয়। পাঠদানের এ উদ্যোগে আনন্দিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

তবে বেশকিছু বাস্তব সমস্যায়ও পড়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে হোয়াইট বোর্ডের ব্যবহার। কারণ টিভির সামনে বসা শিক্ষার্থীরা হোয়াইট বোর্ডে শিক্ষকের লেখা কোনো টেক্সটই দেখতে পারেনি। ক্লাসগুলোর রেকর্ডে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও তাদের মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটিয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানের অভিভাবক জানিয়েছেন, সন্তানকে নিয়ে নির্দিষ্ট ক্লাসের পাঠ প্রচারের সময় টেলিভিশনে বসলেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় তারা তা দেখতে পাননি। অনেক এলাকায় কেবল সংযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা এ ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে এ ক্লাসগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচার করা হোক। কারণ দেশের অনেক এলাকায় কেবল সংযোগ নেই এবং বহু দরিদ্র পরিবারে এ সংযোগ নেওয়ার সামর্থ্য নেই।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, এভাবে পাঠদান দেশে অনেকটাই নতুন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মতামত ও প্রত্যাশাগুলো আমরা জানতে শুরু করেছি। তাদের অভিমত ও সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রেখেই পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংসদ টিভিতে ক্লাসগুলো প্রচারের সময় তা আইসিটি বিভাগের ফেসবুক পেজে ও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাসগুলো সংসদ টিভিতেই পুনঃপ্রচার করা হয়।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘পাঠদানকারী শিক্ষক ক্লাস শেষে বাড়ির কাজ দেবেন। শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা বিষয়ভিত্তিক খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ করবে। স্কুল খোলার পর নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের কাছে এই খাতা জমা দিতে হবে। বাড়ির কাজে প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

নোয়াখালী সদর উপজেলার ঠেকারহাট হাজী আহমদ উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম বলেন, এই দুর্যোগের সময় সরকারের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু বলেন, পল্লী বিদ্যুৎকে জানানো হয়েছে, ক্লাস চলার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয়।

আরও পড়ুন : এলোমেলো পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা সূচি

ঢাকা আজিমপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফতাবুজ্জামান সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে শিখবে, এটা তাদের জন্য রোমাঞ্চকর বিষয়।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, খুব শিগগিরই প্রাথমিকেও অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে এর প্রচার বিটিভির মতো সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড