• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সন্তান স্কুলে না গেলে বাবা-মায়ের কারাবাস!

  শিক্ষা ডেস্ক

১১ মার্চ ২০২০, ১৮:১৭
বাবা-মায়ের জেল
শ্রেণিকক্ষে জিম্বাবুয়ের শিক্ষার্থীরা (ছবি : সংগৃহীত)

সন্তান স্কুলে না গেলে বাবা-মাকে দুই বছর পর্যন্ত কারাবাস করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে অভিনব এই শাস্তির বিধান করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। এছাড়া ১৬ বছর পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী সন্তান স্কুলে না গেলে বাবা-মার কারাভোগ ছাড়াও ২৬০ ডলার জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। স্কুলের বেতন দিতে না পারলে অথবা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বহিষ্কার করাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে ১৬ বছর স্কুলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই প্রচেষ্টাকে সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে অনেকের মতে, তীব্র সংকটের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে সরকার। স্কুল থেকে শিশুদের ঝরে পড়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে গর্ভধারণ, বাল্যবিবাহ, স্কুলের দীর্ঘ দূরত্ব এবং আগ্রহের অভাব। খাবার কিনতে সংগ্রাম করতে হওয়ায় বাবা-মা শিক্ষায় কম খরচ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জিম্বাবুয়েতে বেতন দিতে না পারায় ৬০ শতাংশ শিশুকে বের করে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। এছাড়া অনেক স্থানে ২০ শতাংশ শিশু স্কুলে যায় না।

জিম্বাবুয়ের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তার নেওয়া শিক্ষানীতি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এতে জিম্বাবুয়ের কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীদের জন্য স্কুলে যাওয়ার বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে নব্বইয়ের দশকে বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থার সমাপ্তি টানা হয়, ফলে দেশটিতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন : চবির হলে প্রশাসনের অভিযান, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রা, খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং ওষুধের তীব্র সংকট রয়েছে। আফ্রিকার এক সময়ের শীর্ষস্থানীয় খাদ্য উৎপাদনকারী দেশটি এখন খরার কবলে ভুগছে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড