প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে বরিশালের ২২ বিদ্যালয়

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ২২টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশালে শহরে মোট ৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ২০১৬ সালে স্থাপিত নতুন দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে।

নগরের কাউনিয়ার শহীদ আরজু মনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মো. এমাদুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় সদর বরিশালে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক আছে শুধু জিলা স্কুলে।

এছাড়া, ভোলা জেলায় চারটি বিদ্যালয়ের সবগুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। পিরোজপুরের ছয়টি বিদ্যালয়ের একমাত্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক আছেন। ঝালকাঠিতে দুটি বিদ্যালয়ের একটিতেও প্রধান শিক্ষক নেই। আর এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারী শিক্ষকও আছে সৃষ্টপদের অর্ধেক।

অপরদিকে, বরগুনা জেলার সরকারি বালিকা ও বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুটি। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয় দুটি এতটাই রুগ্ণ দশায় ভুগছে যে, সেখানে ভর্তির জন্যও পাওয়া যাচ্ছে না শিক্ষার্থী। চলতি বছর বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় সেটি দৃশ্যমান হয়। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ৫২টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। আর শিক্ষক সংকটে সেখানে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় কয়েক বছর আগেই তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আজহারুল হক জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে স্বাভাবিক পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে বালিকার মতোই করুণ অবস্থা বরগুনা সরকারি বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এখানেও ৫১টি পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে মাত্র ২২ জনের মতো।

সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বরিশাল বিভাগের ২২টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ভয়াবহ। সেখানে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক রয়েছে মাত্র দুটিতে।

আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহায়তা

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ এবং পদন্নোতি বন্ধ থাকায় এ জটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকা বিশেষ করে ভোলার দৌলতখান, পিরোজপুরের কাউখালী এবং বরগুনার বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চলতি সপ্তাহে মাউশির পরিচালককে (মাধ্যমিক) এ বিষয়ে লিখিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ সংকট দূর করার চেষ্টা চলছে।

ওডি/জেআই