• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তুচ্ছ ঘটনায় জাবিতে সিনিয়রকে মারধর করে চাঁদা আদায়

  জাবি প্রতিনিধি:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেরুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সাবেক ঐ শিক্ষার্থীর নাম দেবাশীষ। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম জিল্লুর রহমান নেহাল। তিনি আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গেরুয়া গেইটে সাবেক ওই শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে জিল্লুর রহমান নিহালের পায়ে সামান্য ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় নিহাল এবং তার দুই বন্ধু আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের প্রবীর মিত্র ও একই ব্যাচের বাংলা বিভাগের মির্জা সোহাগ মিলে গাড়ি ভাংচুর করেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। এতে সাবেক ঐ শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দেন।

পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় চাঁদা আদায় করতে নিহালের বন্ধু মির্জা সোহাগসহ কয়েকজন মিলে জোর করে দেবাশীষকে বাইকে তুলে নিয়ে রফিক জব্বার হলের সামনে আনেন। সেখানে দেবাশীষকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করলে তিনি সবার পা ধরে মাফ চান। কিন্তু চাঁদা ছাড়া ক্ষমা করতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরও দশ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয় ভুক্তভোগী। চাঁদার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান নিহাল বলেন, দেবাশীষ ভাইয়ের গাড়ি আমাকে দুই দফায় ধাক্কা দিয়েছে। দ্বিতীয়বার গাড়ির চাকা আমার পায়ের উপর দিয়ে যায়। তারপরও উনি যেহেতু আমাদের বড় ভাই এবং আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাই আমরা তাকে যেতে দিয়েছি।

গাড়ি ভাঙচুর, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন মির্জা সোহাগ। তবে তিনি বলেন, “আমি তাকে সিনিয়র হিসেবে জানার পর বিষয়টির সুষ্ঠু সুরাহা করার জন্য বাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলাম। গাড়ি ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায়ের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”

তবে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মির্জা সোহাগ ভুক্তভোগীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এরিয়ার দিকে তুলে নিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ পর রফিক জব্বার হলের সামনে নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষার্থী দেবাশীষ বলেন, আমি খুবই লজ্জিত। সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমার ক্যাম্পাসের ছোট ভাইয়েরা আমার সাথে যা করলো আমি আর কোনো দিনও ক্যাম্পাসের মাটিতে পা রাখতে চাই না। ক্যাম্পাসের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি আর কোনো কিছুর আশা করি না। জাবিয়ান বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা হচ্ছে নিজের কাছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এই বিষয়ে নিয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। ঐ সাবেক শিক্ষার্থীর উচিত ছিল প্রশাসনকে জানানো। যে শিক্ষার্থীটিকে ধাক্কা দিয়েছে তারও উচিত ছিল আমাদের এই বিষয়টি জানানো। তবে এরকম টাকা পয়সা নিয়ে থাকলে ঘটনাটি দুঃখজনক, তার সাথে অন্যায় হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে যারা চাঁদা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড