• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

'ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য দেখতে পাওয়া শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি'

  আনিসুর রহমান, কুবি

০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১৬
কুবি

শিক্ষকদের বলা হয় সমাজের বাতিঘর এবং সুনাগরিক গড়ার প্রধান প্রকৌশলী। শিক্ষদের সম্মানে ১৯৯৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে পৃথিবীর ১০০টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এবারেই প্রথম রাষ্ট্রীয় ভাবে 'শিক্ষক দিবস' পালিত হচ্ছে। আজকের এই দিবসে শিক্ষকবৃন্দের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, ভিবিন্ন অর্জন ও ভাবনার দিক নিয়ে অধিকারের সাথে কথা বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রায়হান উদ্দিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কুবি প্রতিনিধি আনিসুর রহমান।

অধিকার: আসসালামু আলাইকুম স্যার। শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা নিবেন।

রায়হান উদ্দিন: ধন্যবাদ আপনাকে।

অধিকার: আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আপনি কোন বক্তব্যটি রাখবেন?

রায়হান উদ্দিন: আজকের এই মহান দিবসে সকল শিক্ষকদের শুভেচ্ছা।আসলে শিক্ষার সাথে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দুইটি পার্ট জড়িত থাকে। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি দক্ষ মানব সমাজ গঠন করা। যা শুধুমাত্র শিক্ষকদের দ্বারাই সম্ভব।আমাদের শিক্ষক সমাজের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করলেই আজকের এই দিবস সাফল্য লাভ করবে।

অধিকার: বলা হয়, শিক্ষকরা হচ্ছেন আলোকিত মানুষ গড়ার প্রকৌশলী। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা তেমন মানুষ গড়ে তুলতে পারছেন কি?

রায়হান উদ্দিন: একজন আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষকের দায়ীত্ব ও কর্তব্য অনেক। কিন্তু বিভিন্ন আমরা তা সঠিকভবে পালন করতে পারছি না। বর্তমানে প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নীতিনৈতিকতা হারিয়ে লেজুড়বৃত্তিক অপ-রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর। আমাদের সময়ে অর্থাৎ আরো ৩০-৪০ বছর পূর্বে শিক্ষদের প্রধান কাজ ছিলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানব সম্পদে গড়ে তোলা। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকরা এই লক্ষ থেকে বহু দূরে সরে যাচ্ছে।

অধিকার: বর্তমান সময়ে শিক্ষক জীবনে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সেতুবন্ধন কতটুকু?

রায়হান উদ্দিন : বর্তমান এই ভোগবাদী সমাজে শিক্ষকদের ভিন্ন ভাবা যায় না। এই ভোগবাদী সমাজের সাথে মিশে যাওয়ার কারনে শিক্ষক জীবনে আকাঙ্খা ও প্রাপ্তির সেতুবন্ধন সমান হয় না।

অধিকার: একজন শিক্ষক হিসেবে স্বপ্ন কি?

রায়হান উদ্দিন: স্বপ্ন বলতে গেলে একটাই। শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলে তাদের আগামীর সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

অধিকার: একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার কোন প্রাপ্তির কথা তুলে ধরবেন?

রায়হান উদ্দিন: প্রাপ্তির কথা বলতে গেলে অনেক বলা যায়। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমার ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য দেখতে পাওয়া। একজন শিক্ষক হিসেবে এর থেকে বড় প্রাপ্তি কি হতে পারে।

অধিকার: এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage’ অর্থাৎ, "আমাদের শিক্ষার জন্য যে শিক্ষকের প্রয়োজন: সেই শিক্ষক ঘাটতি দূর করা বিশ্বব্যাপী অপরিহার্য" প্রতিপাদ্যটি বর্তমান সময়ের সঙ্গে কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

রায়হান উদ্দিন: প্রতিপাদ্যটি অবশ্যই যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করি। কেননা শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক প্রয়োজন। শুধু শিক্ষক নয় গুনগত ও দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক সংকটে ভোগে। এই যেমন, আমাদের ডিপার্টমেন্টে মিনিমাম শিক্ষক থাকা প্রয়োজন ১৯-২০ জন। যাইহোক আমাদের ১৫ জন শিক্ষক ছিলো। কিন্তু তার মধ্য থেকে ৯ জন শিক্ষক ছুটিতে গিয়েছেন। এখন আমাদের ডিপার্টমেন্ট চালাতে হয় ৬ জন শিক্ষক দিয়ে। শিক্ষক সংকটের চ্যালেন্জ মোকাবেলায় বর্তমান প্রতিপাদ্য খুবই সময়োপযোগী।

অধিকার: বলা হয় বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষকতা পেশায় বিমুখতার পিছনে 'বেতন স্বল্পতা' দায়ী। এটি কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

রায়হান উদ্দিন: আপনি যদি দেখেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন সবচেয়ে কম। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন খুব কম। ভারতে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকরা ২০০০০-২৫০০০ হাজার রুপি পায়। এমনকি পাকিস্তানেও শিক্ষকদের বেতন বাংলাদেশ থেকে বেশি। তো সাধারণ ভাবে একটি কারন বলা যেতেই পারে।

অধিকার: আপনাকে ধম্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।

রায়হান উদ্দিন: আপনাকে ও অধিকারকে ধন্যবাদ।

​​​

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড