• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আইএমএফ দেবে ৫ হাজার কোটি ডলার

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০৬ মার্চ ২০২০, ১০:০৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (ছবি : সম্পাদিত)

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোকে ৫ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় কম হবে বলেও সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে।

বর্তমানে ৭০টিরও বেশি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সংস্থাটির পক্ষ থেকে সহায়তার এ ঘোষণা আসে। মহামারি মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রও জরুরি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) ৮৩০ কোটি ডলারের বিশাল বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান সংকট তুলে ধরে আইনপ্রণেতারা বুধবার (৪ মার্চ) বিপুল ভোটের ব্যবধানে একটি বিল পাস করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছেন, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে খুব সহজেই বিলটি পাস হবে। দেশটির সরকার নিজের দেশ ছাড়াও করোনা ভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার অর্থায়নেরও ঘোষণা দিয়েছে। এ অর্থায়ন দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডির সংক্রামক রোগবিষয়ক জরুরি রিজার্ভ তহবিল থেকে করা হবে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য আইএমএফ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এটা ঋণ সুবিধা হিসেবে জরুরি তহবিল গঠনের লক্ষ্যে দেওয়া হবে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘এ অর্থের মাধ্যমে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো করোনার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে সক্ষম হবে।’ এছাড়া চলতি সপ্তাহেই দরিদ্রতম দেশগুলোর জন্য বিনা সুদে ১০ বছরের জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কম সুদে ৫ বছরের জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার ঋণ সহজলভ্য থাকবে বলেও জানান তিনি।

ট্রাম্প প্রশাসনও করোনা মোকাবিলায় পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজ দেশসহ বহির্বিশ্বকে সহায়তার জন্য তিনি ২৫০ কোটি ডলারে অনুমোদন চেয়েছিলেন প্রথমে। কিন্তু বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের কিছুক্ষণ আগে কংগ্রেসের বিশেষ এক বৈঠকে তহবিল বাড়িয়ে ৮৩০ কোটি ডলার করা হয়।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা জানান, জরুরি তহবিলের এ অর্থ থেকে জনস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়া ও সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ ২২০ কোটির মধ্যে ৯৫ কোটি স্টেট ও স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া হবে। ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে হাসপাতাল এবং কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টারগুলোতে ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য। ৩০০ কোটি ডলার খরচ হবে ডায়াগনস্টিক, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক খাতে অর্থাৎ যাদের করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার সামর্থ্য নেই এমন নাগরিকদের সহায়তায় ৩০ কোটি ডলার খরচ করা হবে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার : টিকফা বৈঠক

বরাবরের মতো এবারও মার্কিন প্রশাসন দেশের সুরক্ষার পাশাপাশি মহামারির ঝুঁকিতে থাকা বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ দিকে মার্কিন দূতাবাস ঢাকায় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ তহবিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডির কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কাজাখস্তান, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সহায়তার জন্য ঘোষিত হয়েছে।

ওডি/এওয়াইআর