• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পিলখানা ট্রাজেডি: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় আজ 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:৫৪
হাইকোর্ট
হাইকোর্ট ( ফাইল ফটো )

আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে আজ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর এ রায় প্রকাশিত হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর আজ সকাল ১০টার পর এ রায় প্রকাশিত হবে। রায়ের অনুলিপি দেওয়া হবে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ৩ জন বিচারপতি রায় নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন। প্রায় ৩৩ হাজার পৃষ্ঠার এই রায়ে কোনো ভুলত্রুটি রয়েছে কি-না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়।

জানা গেছে, বিশ্বে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে আসামির দিক থেকে এবং রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা বিবেচনায় সবচেয়ে বড় মামলা এটি। বিচারিক আদালতে রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে রায়ও ঘোষণা হয়েছে। দীর্ঘদিন দেশি-বিদেশি মামলার রায় পর্যালোচনার পর হাইকোর্টের রায় লেখা শেষ করা হয়েছে। এখন বৃহত্তর বেঞ্চের তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ ১৩৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হওয়ার ৭ মাস পর দেয়া রায়ে ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে।

জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি শওকত হোসেন মূল রায় লিখেছেন। তিনি রায়ের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পৃষ্ঠা লিখে বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতির কাছে পাঠান। বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী তার অংশের প্রায় ১৬ হাজার পৃষ্ঠা লিখেছেন।

কনিষ্ঠ বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার লিখেছেন ৫৫০ পৃষ্ঠার ওপর। ভুলত্রুটি খতিয়ে দেখার পর তিনজনের লেখা রায় একত্রিত করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো মামলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় এই রায়ে।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই মামলায় ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এদের কয়েকজন ছাড়া সবাই তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৬১ জন। সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদ সাজা পান আরও ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন আসামি। সাজা হয় মোট ৫৬৮ জনের। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। ৬৯ জন খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনারি শুরু হয়। শেষ হয় ৩৭০তম দিনে ১৩ এপ্রিল।

আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ : নজরদারিতে ৩ জন

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়।

ওডি/এসএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড