এ.এস.রানা, চট্টগ্রাম
ঈদ শেষ হয়েছে প্রায় ১ সপ্তাহ হতে চললো, কিন্তু বাস মালিকদের ঈদ যেন শেষই হতে চায় না। ঈদের আগে তারা যে ভাড়া বাড়িয়েছিল তা এখনো বহাল রেখেছে। ঈদের নাম করে এখনো মাঝারি ও দূরপাল্লার অনেক পরিবহনে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।
অথচ ঈদের আগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি কথা দিয়েছিলো তারা সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া নেবে না। কেউ নিলে অভিযুক্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের আপত্তি থাকবে না। তাদের এ প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো, অনেক বাস মালিক তাদের এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। ঈদের প্রায় ১ সপ্তাহ পরেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, অনেক পরিবহন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর কর্নেল হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনায় ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। এই অভিযানে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ও কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামগামী অনেক বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানা যায়।
বাসগুলোতে মালিক সমিতির দেয়া ভাড়ার তালিকা রাখা হলেও পরিবহনগুলো এ তালিকা মানছে না। এ সকল রুটে এখনো নিজেদের করা ভাড়ার তালিকার চেয়ে রুটভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যাত্রীরা বলেছেন ঈদের এতোদিন পরেও এ ধরনের বাড়তি ভাড়া নেয়াটা মেনে নেয়া যায় না।
বাঁধন পরিবহনের বাসগুলোতে দেখা যায়, আসন সংখ্যার বাইরেও চলাচলের পথে টুল বসিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হয়েছে। এ বিষয়েও যাত্রীরা আপত্তি উত্থাপন করেন। সুতরাং বাড়তি ভাড়া নেয়ার অপরাধে আজ সোনাপুর থেকে চট্টগ্রামগামী বাঁধন পরিবহন এর ২টি বাস, মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে চট্টগ্রামগ্রামী শাহী এক্সপ্রেস এর ১টি বাস এবং দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামগামী দাউদকান্দি এক্সপ্রেস এর ১টি বাসকে ২০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সামনে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ার করে দেয়া হয়।
অপরদিকে নগরীর ১০ নং রুটের একটি ফিটনেসবিহীন বাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাসটির চালকের কোন লাইসেন্সও ছিলো না এবং বাড়তি ভাড়া নেয়ারও অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম.মনজুরুল হক বলেন, আজকের অভিযানে ৫টি বাসকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে। যেখানে সড়কে অরাজকতা সেখানে বিআরটিএ থাকবে। এমনকি যাত্রীদের থেকে ব্যক্তিগত অভিযোগ বা ফোন কলে, বা বিআরটিএ দেয়া পেইজে দেয়া অভিযোগ গুলিও আমলে নিচ্ছি আমরা।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড