• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 

  এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩৫
১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 

মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল শুক্কুর বলেছেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে মাছ ধরা খুলে দিতে প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। যেহেতু পানি দেরিতে বৃদ্ধি পেয়েছে সেহেতু হ্রদ খোলা একটু পেছনের দিকে নিলে ভাল হবে।

কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বলেন, মাছ ধরার সময় আরও ১৫ দিন বৃদ্ধি করা হউক। এখনো হ্রদের পানি গোলা রয়ে গেছে। অপর দিকে এবার হ্রদে দেরিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা মৎস্য অফিসার বলেন, হ্রদ বন্ধ খুলে দিতে সভায় বিভিন্ন যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন তিনি। এছাড়াও মাছ ধরার জাল নিয়ন্ত্রণ করা না হলে হ্রদে আর মাছ থাকবে না। অবৈধ জাল নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

উপ-পরিচালক জেলা মৎস্য অধিদপ্তর বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মাছ স্থানীয়দের উপকারে যেন আসে সে দিক গুলো বিবেচনা করতে হবে। অন্য দিকে জেলেদের বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। গত ৪ মাস এখানকার লোকজন মাছ খেতে পারেনি। তেমনি জেলেরাও মাছ শিকার করতে পারেনি।

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, যেহেতু সবাই বলছে মাছ ধরা আরও কিছু দিন বন্ধ রাখার জন্য সেহেতু সব দিক বিবেচনা করে সবার মতামত নিয়ে আর কিছু দিন পরে মাছ ধরা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করছি। এখানে জেলে ও সুবিধাভোগীদের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

বনরুপা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ বলেন, মাছ ধরার সময়সীমা ১৫দিন বৃদ্ধি করা হউক। কারণ এ বছর দেরিতে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মাছ ধরার উপর কঠোর আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। জেলেরা হ্রদে কত ইঞ্চি পরিমাণ মাছ আহরণ করতে পারবে। সেটারও একটি নিয়ম থাকা দরকার।

মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উদয় বড়ুয়া বলেন, জাল ও মাছ ধরা ব্যাপারে নিয়মনীতি মাথায় রেখে জেলেদের মাছ ধরতে কঠোর হওয়া এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জেলেরা হ্রদে কে কত ফিট জাল দিয়ে মাছ ধরবে তা প্রশাসন ঠিক করে দিলে ভাল হয়। আর অনেক জেলে ও ব্যবসায়ী বলেছেন ১৫ দিন পরে হ্রদে মাছ ধরা খুলে দেওয়া হলে ভাল হয়।

জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল এিপুরা বলেন, হ্রদ এই এলাকার সকলের। তাই হ্রদটাকে নিয়ে সকলের চিন্তা করতে হবে। অন্য দিকে বিগত ৪ মাস মাছ আহরণ বন্ধ ছিল তাই সে দিকেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।

ম্যানেজার (বিএফডিসি) আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া বিভিন্ন যুক্তিতর্ক ও উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, মাছ কখন ধরবেন, দিনে কত বার ধরতে পারবেন সেটির একটি নীতিমালা রয়েছে। মাছ ধরা বন্ধ রাখলে কি কি সমস্যা হচ্ছে বা জেলেদের পরিবার পরিজনের কি অবস্থা হবে সে দিক চিন্তা করতে হবে।

তিনি হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি হ্রদ এ মাছ ধরা খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই হ্রদের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো। তবে মাছ ধরা খুলে দেওয়ার আগেই ম্যানেজার বিএফডিসি, মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের সাথে কথাবার্তা বলেই মাছ ধরা খুলে দেওয়া হবে। তবে মৎস্য আহরণে আইন-কানুন মেনেই জেলেদের মাছ ধরতে হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড