শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশী এক কৃষকের ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চালা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জিয়ারদ্দিনের ছেলে মো. জসীমদ্দিন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ চলতি বছরের ১৫ মার্চ তার ১৮ শতাংশ জমি কেটে পুকুর তৈরি করেন। এ ঘটনায় তাকে সমপরিমাণ কৃষি জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেননি। এছাড়াও সম্প্রতি উত্তর মেরুন্ডি মান্নান মোল্লার বাড়ি থেকে ছকেল মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার অনুমোদন হয়। ছকেল মোল্লার বাড়ির সামনে রাস্তার কাজ করার সময় রাস্তার জন্য যতটুকু মাটির প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি মাটি তার জমি থেকে কেটে চেয়ারম্যান বিক্রি করেছে। মাটি কাটতে বাধা দিলে তার পরিবারের উপর হামলা, অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মোবাইল ভাঙচুর করেছে।
অভিযোগকারী মো. জসীমদ্দিন বলেন, আমার জমি থেকে চেয়ারম্যান জোর করে মাটি কেটে বিক্রি করেছে। বাঁধা দিলেও তিনি শুনেননি। এরপর আমি থানায় অভিযোগ দিলে স্থানীয় লোকজন সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে আপস করে দেয়। তখন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ আমাকে কথা দেন সমপরিমাণ ১৮ শতাংশ কৃষি জমি আমাকে রেজিস্ট্রেশন করে দিবে। যার কারণে আমি ওই অভিযোগ তুলে আনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোন জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেননি।
এছাড়াও রাস্তার জন্য আমার জমি থেকে বেশি করে মাটি কেটে নিয়ে তিনি বিক্রি করেছেন। আমি নিষেধ করায় তিনি আমার এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করেছেন। তখন আমার স্ত্রী আমার ছেলেকে ফোন দিতে গেলে আব্দুল মজিদ আমার স্ত্রীর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, জসিমসহ তার ভাইদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনে নিয়েছি। এখনো রেজিস্ট্রেশন করে নেয়া হয়নি। জসিমসহ তার ভাইয়েরা আমাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেবে। ঝামেলা থাকলে ওদের ভাইদের সাথে আছে, আমার সাথে নেই। হামলা, বকাবাজি ও মোবাইল ভাঙচুর ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
রাস্তার মাটি কাটার বিষয়ে বলেন, ১৩ ফুট রাস্তার জন্য জসিমের জমির মাটি কাটা হয়েছে। অথচ আমার জমি থেকে ৫০০ ফুটেরও বেশি রাস্তায় মাটি কেটে দেয়া হয়েছে। রাস্তার পাশের সকল জমি থেকেই মাটি নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। জসিমের জমি থেকে মাটি রাস্তায় দেয়া হয়েছে, বিক্রি করা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে দু'পক্ষকে ডেকেছিলাম। দুই পক্ষের কথা শুনেছি।
হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সমস্যার সমাধান হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড