• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিয়ে করতে তালবাহানা যুবকের

আদালতের শরণাপন্ন তরুণী

  সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ

২৭ জুন ২০২৩, ১৬:১২
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিয়ে করতে তালবাহানা যুবকের
ভুক্তভোগী তরুণী ও ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক (ফাইল ছবি)

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে জারিলা গ্রামে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেরাজ উদ্দিন (২১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

গত ২২ জুন দিবাগত রাতে ওই তরুণীর বাড়িতে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে গতকাল সোমবার (২৬ জুন) সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের জারিলা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মেরাজ উদ্দিন, মো. মোকেচ্ছেদ মণ্ডলের ছেলে কামাল উদ্দিন, বাবু মণ্ডল ও টুটুল মণ্ডল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর কামারখন্দ উপজেলার তাজুরপাড়া গ্রামের ছাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়। মূলত এরপর থেকে ভুক্তভোগী নারী নিজের পিতার বাড়িতে অবস্থান করে লেখাপড়া করতে থাকেন। পরবর্তীকালে কলেজে যাওয়া-আসার সময় মেরাজ উদ্দিন বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মূলত তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গেল ২২ জুন রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মেরাজ উদ্দিন রাত ১২টা দিকে সুকৌশলে ওই তরুণীর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই ভুক্তভোগীর আত্ম-চিৎকারে আশপাশের হিমেল শেখ, রাকিব হোসেনসহ কয়েকজন এসে মেরাজকে হাতেনাতে আটক করেন।

এরপর স্থানীয় মুরুব্বীদের নিয়ে মেরাজের বাবা এসে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে মেরাজকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন ২৩ জুন স্থানীয়দের সালিশি বৈঠকের সময় বিয়ের কথা স্বীকার করে ২৪ জুন বিকালে ৫ লাখ টাকা কাবিন মূল্যে বৈঠকটি শেষ হয়। পরে ২৪ জুন বিয়ের কথা বললে মেরাজের পরিবার বিয়ে কথা অস্বীকার করে নানা তাল-বাহানা শুরু করে।

এমতাবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী তরুণী মেরাজ ও তার বাবাসহ চারজনকে আসামি করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আদালতের তদন্তের কোনো কপি এখনো পায়নি। পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড