ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিতে দিশেহারা ব্যবসায়ী

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম সুমনকে মারধোর ও জীবননাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জমি ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম সুমন এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্য তিনি জানিয়েছেন- চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জমি সংক্রান্ত মামলায় হেরে গিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল সোমবার নিজ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে অগ্রণী ব্যাংক কোয়ার্টার গলির সামনে চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান সহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকে মোটরসাইকেল যোগে গাড়ীর পথ রোধ করে এবং তার জামার কলার ধরিয়া গাড়ী থেকে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে।

তিনি আরও জানান, তখন ভয়ে চিৎকার, চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে তাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে। তারা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় তপশীল ভুক্ত জমিতে যাবি না, গেলে তোকে জীবনে শেষ করে ফেলব এবং তোর লাশ গুম করে দেবো বলে হুমকি প্রদান করে। হামলাও হুমকির বিষয়ে খুলনা সদর থানায় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মাহবুব মোল্লা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যু। মাহাবুব জামাত শিবির নেতা গোলাম পরোয়ারের অর্থ যোগান দাতা এবং জামাত শিবিরের পেশি শক্তির জোরে ডুমরিয়া ৯নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। সে সরকার বিরোধী নাশকতার মালার আসামী। ডুমরিয়া উপজেলা বিভিন্ন সাধারণ নিরীহ মানুষের জমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া শের এ বাংলা রোড সংলগ্ন দরগাপাড়া প্রধান সড়কে মাহাবুবের যে অফিস ও মার্কেটটি রয়েছে সেটা লন্ডন প্রবাসী রাবেয়া হাসানের স্বামী-মঞ্জুর হাসানের সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি মাহাবুব জবর দখল করে নিয়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে।

এছাড়াও মো. মাহবুবুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী গত বছর সাহস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে সেই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় তখন সাহস ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য খলিল গাজী উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

ভূমিদস্যু মাহাবুব বিএনপি এর সক্রিয় নেতা, তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সে এলাকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েও ইউনিয়ন পরিষদের কোন কার্যক্রমে তাকে দেখা যায় না। খুলনার ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাহাবুব এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কথা বলতেও ভয় পায় বলে ও তিনি সংবাদ সম্মেলনে যোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম সুমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু মাহাবুব এবং তার সহযোগীদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সাথে চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশবাসীর নিকট তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।