ভালুকা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় গৃহবধূ হাসনা হেনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ মার্চ) সকালে জেলার ত্রিশাল উপজেলার হুটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নে হাসনা হেনা নামে এক নারীর দুটি বিয়ে হয়। প্রথমে বিয়ে হয় ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল মতিনের সঙ্গে। সেখানে ননদের জামাই রফিকুল ইসলাম ওরফে রবির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে হাসনা হেনার। প্রায় বছর খানেক আগে মতিনকে তালাক দিয়ে মৃত ওসমান আলী ওরফে সম্বু কাল্লার ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন হাসনা হেনা। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে হাসনা হেনা ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা কডো মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুমার ঘাটা এলাকায় হাসনা হেনার বড় মেয়ে মোছা. মিলির জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন হাসনা হেনা। রাতে খাবার খেয়ে মেয়ের শাশুড়ি সমলা আক্তার ও হাসনা হেনা বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। ভোরে হাসনা হেনাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে জয়নাল উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের বাঁশের ঝাড়ে লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাসনা হেনার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই হাসনা হেনার বড় ভাই মোর্শেদ আলী মন্ডল বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই মতিন পলাতক ছিল। বুধবার (১১ মার্চ) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ত্রিশাল উপজেলার হুটি এলাকা থেকে মতিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. ইকবাল দৈনিক অধিকারকে জানান, হাসনা হেনা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড ঘটানো ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড