গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
নিখোঁজের ১৪ মাস পর গোপালগঞ্জে রায়চরন নামে এক এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ ছাড়াও গোপালগঞ্জ সিআইডির সিনিয়র এএসপি জাহাঙ্গীর আলম, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর্জা আবুল কালাম আজাদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সিআইডির এএসআই রবিউল ইসলামসহ সিআইডি ও মুকসুদপুর থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর হত্যার পর রায়চরনের লাশ বস্তাবন্দি করে ওই কলাবাগানে পুঁতে রাখে দুর্গাপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান সেন্টু।
নিহত রায়চরন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ভৈরবনগর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার ‘আশা’ এনজিওর মাঠকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
অপরদিকে হত্যাকারী মাহমুদুল হাসান সেন্টু দুর্গাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে গোপালগঞ্জ সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফাতেহ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম জানান, নিখোঁজের ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামি সেন্টুকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে নিহত এনজিও কর্মীর ব্যবহৃত মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর ট্রেস করে জানা যায় ওই মুঠোফোনটি বরগুনার তালতলী উপজেলায় থাকা খুনি সেন্টুর স্ত্রীর বড় বোন নারগীসের ব্যবহার করছেন। পরে সেই সূত্র ধরে সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকারোক্তি দেয়- এনজিও কর্মী রায়চরনকে খুন করে ওই কলাবাগানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা, এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ায় রায়চরনকে হত্যা করে লাশ গুম করে সেন্টু।
উল্লেখ্য, এই হত্যা মামলার জড়িত সন্দেহ সেন্টুকে আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে দুই মাস হাজতবাস করে সে জামিনে ছিল। সবশেষে ভিকটিমের মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর ট্রাকিং করে মঙ্গলবার লাশ গুমের তথ্য উদঘাটনসহ নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড