ঈশ্বরদী প্রতিনিধি, পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মোট ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী এ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ বাবদ এ টাকা আদায় করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন এসে ভবন নির্মাণ বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে এসে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে অভিভাবকরা অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবাদও জানান। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। যারা দিতে পারবে না তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, সাঁড়া গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। অনেক অভিভাবককই ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা চালাতে অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এতে মোট চাঁদা আদায় হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯শ টাকা।
ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আসলাম হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ বাবদ ১০০ টাকা করে আদায় করতে পরিচালনা কমিটি নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, বাধ্যতামূলকভাবে নয়, যারা খুশিমনে অনুদান দিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ল ৩টি বসতঘর
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার জানান, টাকা চাইলেই দেবে কেন। আর যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে শিক্ষার্থীরা জানালে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড