• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রবেশপত্র না পেয়ে শঙ্কায় ৪৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

৩০ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:০৯
এসএসসি পরীক্ষার্থী
প্রবেশপত্র না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী এখনো তাদের প্রবেশপত্র পায়নি। ফলে দিন ঘনিয়ে আসলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনিশ্চয়তা কাটছে না তাদের। প্রবেশপত্রের আশায় প্রতিদিনই স্কুলে এসে ঘুরে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে তারা ওই স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে।

পরীক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা তাদের পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান বিভাগে নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৯৫০ টাকা ও অন্যান্য বিভাগে নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা করে নেন। কিন্তু তাদের কোনো রশিদ দেননি। জমা রশিদ চাইলে পরে দিবেন বলে জানান। ওই পরীক্ষার্থীরা অবশ্য পরে জানতে পারেন যে, তাদের ফরম পূরণের টাকা সময়মতো ব্যাংকে জমা না দেওয়ায় বোর্ড থেকে তাদের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়নি।

জানা যায়, ওই বিদ্যালয় থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে চারজন, বাণিজ্য বিভাগে চারজন ও মানবিক বিভাগে ৩৬ জনসহ মোট ৪৪ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণের টাকা দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছয়জন রয়েছে যারা জেএসসি পরীক্ষাতেও পাস করেনি। কিন্তু আইসিটি শিক্ষক তাদের খাতা চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে পাস করিয়ে এনেছেন বলে তাদের জানানো হয়েছে। যদিও অনলাইনে রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষা করেও তারা ফেল করেছে বলেই জানতে পেরেছে। এসব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকেও ফরম পূরণের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আইসিটি শিক্ষকের বদান্যতায় তারা নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তবে ওই শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি তিনি। এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করার হুমকি দেওয়া হয় বলে তারা জানান।

জানা গেছে, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মানবিক বিভাগের হাসান নামে এক পরীক্ষার্থীর মোবাইলে ইমো নম্বরে আইসিটি শিক্ষক সোহেল রানা বিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রবেশপত্র দেন। পরে আবার মানবিক বিভাগের প্রবেশপত্র প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আইসিটি শিক্ষক সোহেল রানা এসব কারণের জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অনেক আগেই সোহেল রানার কাছে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই টাকা সে জমা না করে একটি ভুয়া জমা রশিদ এনে দেয় তাকে। সেই রশিদ এখনো সংরক্ষিত আছে বলে জানান তিনি।

প্রধান শিক্ষক তার গাফিলতির কথা স্বীকার করে বলেন, বোর্ডে গিয়ে টাকা জমা না হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি নতুন করে টাকা জমা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আনার চেষ্টা করছেন। সোহেলের ওপর নির্ভর করা তার ভুল হয়েছে বলে তার দাবি।

এ ব্যাপারে সোহেল রানা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব কিছুই ঠিক আছে। তার কোনো গাফিলতি নেই। ১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে আসলে তিনি সকল প্রমাণ দেখাতে পারবেন।

আরও পড়ুন : আদালতে স্বীকারোক্তি : কাঁথা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যা

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রবেশপত্র আনার ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। বিলম্ব ফি ছাড়া ১৭ নভেম্বর ও বিলম্ব ফি সহ ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণের সময় ছিল।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড