ক্রীড়া ডেস্ক
পুরনো ঠিকানায় ফেরার পর ফের জালের দেখা পেলেন ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো। তবু পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বদলি নেমে শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দিলেন জেসে লিনগার্ড। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দারুণ জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ল উলে গুনার সুলশারের দল।
লন্ডন স্টেডিয়ামে গত রবিবার স্থানীয় সময় বিকালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি সেভ করে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন ডেভিড ডি গিয়াও।
প্রিমিয়ার লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে টানা সবচেয়ে বেশি অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা আরও বাড়িয়ে নিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি, ২৯ ম্যাচ।
পুরো ম্যাচে ৬১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১৭টি শট নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, যার ১০টি লক্ষ্যে। ওয়েস্ট হ্যামের ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম ম্যাচে গত বুধবার ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে হারা ইউনাইটেড শুরুতে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল। ষোড়শ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল তারা। ওয়েস্ট হ্যাম ফরোয়ার্ড জ্যারড বোয়েনের শট ঠেকিয়ে দলকে বাঁচান ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকা।
২৭তম মিনিটে ইউনাইটেড এগিয়ে যেতে পারত। কর্নার থেকে বল প্রতিপক্ষের একজনের মাথা ছুঁয়ে এসে পড়ে ব্রুনো ফের্নান্দেসের সামনে। পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের শট ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। তিন মিনিট পরই সৌভাগ্যসূচক গোলে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট হ্যাম। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাইদ বেনরাহমার শট যেতে পারত গোলরক্ষক বারাবর, কিন্তু রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ডি গিয়ার।
স্বাগতিকদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পরই সমতা ফেরান রোনালদো। ডান দিক থেকে ফের্নান্দেসের ক্রসে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের দারুণ ফ্লিক গোলরক্ষক লুকাস ফাবিয়ান্সকি প্রথম দফায় ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল জালে পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
দ্বিতীয়র দফায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফেরার পর প্রথম তিন ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন রোনালদো। যেখানে তার গোল হলো চারটি। প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ‘দ্বিতীয় অভিষেক’ রাঙানোর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনি।
বিরতির আগে আরেকটি সুযোগ পান রোনালদো। ম্যাসন গ্রিনউডের পাস থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন ফাবিয়ান্সকি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোনালদোর আরেকটি প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন তিনি।
এরপর খেলার গতি কমে আসে কিছুটা। ৭৫তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বাধায় রোনালদো পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে ইউনাইটেড। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন : মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন কেয়ার্নস
নির্ধারীত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সফরকারীদের এগিয়ে নেন দ্বিতীয়ার্ধে পগবার বদলি নামা লিনগার্ড। নেমানিয়া মাতিচের পাস ডি-বক্সে পেয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে তার ভুলেই শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেছিল দল।
নাটকীয়তায় অবশ্য তখনও বাকি। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে লুক শর হতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট-কিক নিতে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মার্ক নোবেল। তবে ওয়েস্ট হ্যামকে পয়েন্ট এনে দিতে পারেননি তিনি। তার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান ডি গিয়া। উল্লাসে মাতে ম্যানচেস্টারের দলটি।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড