ক্রীড়া ডেস্ক
পাতানো ম্যাচ বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন কিছু নয়। অতীতে অনেক দল পাতানো খেলার অপরাধে নানা ধরনের শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু ‘অনলাইন বেটিং’ বিশ্ব ফুটবলে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে নতুন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৫টি ম্যাচে অনলাইন বেটিং হয়েছে-এমন অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ বাফুফের।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘অতীতে পাতানো খেলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমরা কাজ করেছি। দোষী সনাক্ত করে শাস্তিও বাফুফে দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টা পুরোপুরি নতুন আমাদের কাছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এটা খতিয়ে দেখব।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এই কুকর্ম হচ্ছে সেই সন্দেহ এসেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের কাছ থেকে। তারা নানাভাবে বিভিন্ন দেশের ফুটবল শক্তভাবে নজরদারি করে থাকে।
‘এএফসি জানিয়েছে অনলাইন বেটিং শনাক্ত করতে আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমরা তাদের সহযোগিতা নেব এবং আরও যা করার সব করব’-বলেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
যে ম্যাচগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ম্যাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বাফুফে। দুই ক্লাবই তাদের জবাব দিয়ে বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো কী?
আরও পড়ুন : স্পিনিং পিচে খেলতে না পারা খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা : রোহিত
অনলাইন বেটিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে জুয়াড়ি ও খেলোয়াড়দের যোগসাজসে। সেটা সরাসরি হোক কিংবা ক্লাব কর্মকর্তা, কোচ বা অন্য কারো মাধ্যমে। তবে মাঠের সব ঘটনা খেলোয়াড়দের মাধ্যমেই কার্যকর করে জুয়াড়িরা।
তাই বাফুফে কি কেবল ক্লাবগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে তদন্ত কাজ চালাবে, নাকি খেলোয়াড়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে? বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের উত্তর, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। আরো কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আমাদের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে দেব। এরপর এএফসির কিছু গাইডলাইন নেব। তাদের গাইডলাইন ও সহযোগিতা নিয়েই আমরা অনলাইন বেটিং শনাক্তের কাজ করব।’
ওডি
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড