• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক মুসাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডের টানাটানি

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২০, ১২:৩৭
গ্যারেথ সাউথগেট, সের্জিনো ডেস্ট ও  ইউনুস মুসা
গ্যারেথ সাউথগেট, সের্জিনো ডেস্ট ও ইউনুস মুসা। (ছবি : সংগৃহীত)

ঘানাইয়ান বাবা-মার ঘরে ইউনুস মুসার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। বেড়ে উঠেছেন ইতালিতে। ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুটা সেখানেই, জর্জিওনি কালচো ২০০০ নামের ক্লাবে। ২০১২ সালে ভর্তি হন আর্সেনালের ফুটবল একাডেমিতে। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ দলে খেলেছেন। ২০১৯ সালে যোগ দেন স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার ‘বি’ দলে। গত সেপ্টেম্বরে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার সিনিয়র দলে অভিষেক।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়ে গেল। সোয়ানসিতে খেলেছেন গ্যারেথ বেলদের ওয়েলসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। কিন্তু কেউ নিশ্চিত নন যে ইউনুস মুসার গায়ে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিটাই থাকবে স্থায়ীভাবে।

১৭ বছর বয়সী প্রতিভাদীপ্ত এই ফরোয়ার্ড ঘানা, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও ইংল্যান্ড এই চার দেশের হয়েই খেলার যোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ওয়েলসের সঙ্গে গোলশূন্য ম্যাচটিতে তো খেলেই ফেললেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে কোনো খেলোয়াড় সেই দলে স্থায়ী হয়ে যায় না। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলেই স্থায়ী হতে হয়। আর সে কারণেই মুসার এখনও সুযোগ আছে ঘানা, ইংল্যান্ড ও ইতালির হয়ে খেলার।

ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এ্ফএ) তাকে প্রলুব্ধ করেই চলেছে। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট তাকে চাইছেন ভীষণ করে। মুসা শুধু যে রাইট উইংয়ে খেলেন তা তো নয়। খেলতে পারেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে, বক্স-টু-বক্স মিডিফিল্ডার হিসেবে। এরকম প্রতিভাদীপ্ত একজন ফুটবলার ইংলিশদের চাই-ই চাই। কারণ গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা ইংল্যান্ড ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জিততে চায়। ৫৬ বছর পর দ্বিতীয়বার ওই সোনালি ট্রফিটি হাতে তুলে ধরতে বড় ব্যাকুল ইংলিশরা।

মুসার জন্ম ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর। তবে এই অল্প বয়সেই পেশাদার ফুটবলে পা রাখায় নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারেন। সেজন্যই ইংল্যান্ডের ডাক উপেক্ষা করতে পারছেন না মুসা। আমেরিকার চেয়ে ইংল্যান্ডের ফুটবল-সংস্কৃতি যে অনেক উঁচুমানের।

আবার এটাও ঠিক, আমেরিকা উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়ে এগোতে চাইছে বিশ্ব ফুটবলে। একগুচ্ছ প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার দাপটের সঙ্গে খেলছেন নামিদামি সব পেশাদার লিগগুলোতে। এদের একসূত্রে গেঁথে নিতে পারলে বিশ্বকাপ জিততে বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে না বলেই বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বারহল্টারের।

কী সব তরুণ আমেরিকান প্রতিভা এখন ইউরোপের মাঠ মাতিয়ে চলেছে ভেবে দেখুন! চেলসি ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মিডফিল্ডার জিওভান্নি রেইনা, জুভেন্টাস মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি। এদের সঙ্গে যোগ করে নিতে পারেন ভ্যালেন্সিয়ার উইঙ্গার ইউনুস মুসা, বার্সেলোনার রাইটব্যাক সের্জিনো ডেস্ট এবং বার্সেলোনাতেই এখনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় থাকা লেফট উইঙ্গার কনরাড ডে লা ফুয়েন্তে।

সের্জিনো ডেস্ট তো কাতার বিশ্বকাপেই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ভাবেন। যদিও তার চোখে বাস্তবসম্মত সুযোগটা ২০২৬ বিশ্বকাপে, কানাডা ও মেক্সিকোকে সঙ্গে নিয়ে যেটির আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। দৈনিক মার্কাকে বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী ফুলব্যাক বলেছেন, ‘আমি বলি বলটা তো গোল, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের সুযোগ সবসময়ই আছে। তবে আমি মনে করি আমাদের বেশি সুযোগ ২০২৬ বিশ্বকাপে। অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে আমাদের দলে, ২০২২ বিশ্বকাপে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে আমাদের।’

কিন্তু উদীয়মান এই তারকাপুঞ্জ থেকে মুসাকে খসিয়ে নেওয়ারই চেষ্টা করছে ইংল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সতর্ক। কোচ বারহল্টার মুসার দিকে ইগলচোখে তাকিয়ে আছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড