ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরো বাছাইয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৬৯৯ গোল ছিল রোনালদোর। ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে এক গোল দরকার ছিল সি আর সেভেনের। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই মাইলফলক স্পর্শ করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তবে স্বাগতিক ইউক্রেনের কাছে ২-১ গোলে গ্রুপ অস্বস্তিতে রয়েছে পর্তুগাল।
কিয়েভে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে এগিয়ে থাকে ইউক্রেন। পাঁচ মিনিটে পর্তুগালের জালে বল জড়ায় তারা। কর্নার থেকে বল পেয়ে শেরি ক্রিস্টোভের হেড গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও ফেরালেও বিপদমুক্ত হয়নি। গোল মুখে থাকা রোমান ইয়ারেমচুক বল পাঠান জালে।
পিছিয়ে পড়েই সমতাতে ফিরতে মরিয়া ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে স্বাগতিকদের দুর্ভেদ্য রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি পর্তুগিজরা। বরং ২৭তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে সান্তোস শিষ্যরা। মাইলেঙ্কোর দারুণ ক্রস থেকে গোল করেন আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো।
বিরতির পর ৭২ মিনিট ডি বক্সের ভেতর তারাস স্তেপানেঙ্কোর হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি আদায় করে পর্তুগিজরা। আর স্পটকিকে গোল করে ইতিহাসে নাম লেখান রোনালদো। ৭শ গোলে রেকর্ড গড়লেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি সি আর সেভেন। গ্রুপে এটাই পর্তুগালের প্রথম হার।
‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালকে হারিয়ে সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউরো ২০২০ নিশ্চিত করেছে শেভচেঙ্কোর শিষ্যরা। এক ম্যাচ কম খেলে পর্তুগালের দখলে ১১ পয়েন্ট। এক পয়েন্ট কম নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে সার্বিয়া।
২০২০ ইউরোতে অংশ নেবে ২৪টি দল। তাই এবারের নিয়ম অনুয়ায়ী ১০টি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল মূল পর্ব খেলবে। সঙ্গে তৃতীয় স্থানে থাকা দশটি দলের মধ্যে সেরা চারটি দল উত্তীর্ণ হবে। তাই পর্তুগালকে শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে। কারণ পয়েন্ট হাতছাড়া করলেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবে সার্বিয়া। শেষ দুটি ম্যাচই সার্বিয়া খেলবে আবার হোম ভেন্যুতে। অবশ্য গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি তাদের শীর্ষে থাকা ইউক্রেনের বিপক্ষে, যারা এখন পর্যন্ত অপরাজিত।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড