জার্মানির বিপক্ষে যে শক্তিশালী একাদশ নিয়ে নামবে আর্জেন্টিনা

জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচ মানেই ১৯৮৬, ১৯৯০ আর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ভেসে উঠবে ফুটবলপ্রেমীদের সামনে। ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর কেবল একবারই দুদলের খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে ভক্তকূলের। ওই বছরই (২০১৪), ৪ সেপ্টেম্বর জার্মানির মাটিতে খেলতে গিয়ে মেসিকে ছাড়াই ৪-২ গোলে জিতেছিল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের দুঃখ কি আর এমন জয়ে ভোলা যায়! ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট আবারও মুখোমুখি হচ্ছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবালা-মার্টিনেজদের আতিথেয়তা দেবে জার্মান। এ দিন বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হোম গ্রাউন্ড সিগন্যাল ইডুনা পার্কে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হবে জোয়াকিম লোর দল।

২০০৬ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপে জার্মানদের কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি হয়েছিল কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার দেশের। গেল ৪০ বছরে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় পরাজয় ৪-০ ব্যবধানে। সেটাও জার্মানির বিপক্ষে ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে।

তবে দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে আর্জেন্টিনা। জার্মানির বিপক্ষে ২১টি ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয় পেয়েছে আলবেসেলেস্তিরা। হেরেছে ছয়টিতে। বাকি পাঁচটি ম্যাচ অমীমাংসিত।

আসন্ন এই ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করল আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। ঘোষিত এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ম্যানসিটির সেরা তারকা সার্জিও আগুয়েরো ও পিএসজির ডি মারিয়ার। দলে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন আর্সেনালের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

গেল ২৭ সেপ্টেম্বর ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেন কোচ। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্কালোনির এই দলে স্বাভাবিকভাবেই নাম আসেনি ২০১৯ সালের ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেটের কোনো খেলোয়াড় না নেওয়াতে গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি ও এস্তেবান আনদ্রাদের রাখা হয়নি ২৬ সদস্যর এই দলে।

আর্জেন্টিনা সম্ভাব্য একাদশ :

আগুস্তিন মার্চেসিন (গোলরক্ষক, পোর্তো), হুয়ান ফয়থ (টটেনহ্যাম), নিকোলাস ওতামেন্দি (ম্যানচেস্টার সিটি), মার্কোস রোহো (ম্যানইউ), নিকোলাস তালিয়াফিকো (আয়াক্স আমস্টারডাম), লেয়ান্দ্রো পারেদেস (পিএসজি), রবার্তো পেরেইরা (ওয়াটফোর্ড), নিকোলাস ডোমিনগুয়েজ (ভালেস), পাওলো দিবালা (জুভেন্তাস), লুকাস আলারিও (বেয়ার লেভারকুজেন) ও লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান)।

ওডি/এসএম