• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যে কোচরা ক্লাবকে ধনী করেছিল

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, ১৪:৪৬
বাঁ থেকে লিওনার্দো জারদিম, আল্লেগ্রি, মরিনহো, সিমেওনে ও এমেরি
বাঁ থেকে লিওনার্দো জারদিম, আল্লেগ্রি, মরিনহো, সিমেওনে ও এমেরি (ছবি : সংগৃহীত)

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খেলা ফুটবল। বিশ্বজুড়ে ফুটবল কোচদের আয় নিয়ে সবার জানার আগ্রহ থাকে; আচ্ছা কজনই জানেন কোচদের থেকে ক্লাবের আয় কতটা? প্রতিবছর কোচের পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঠিকই ব্যয় করে ফুটবল ক্লাবগুলো তবে তাদের আয়ও যে গগনচুম্বী! চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোচের দ্বারা কোন ক্লাব কতটা আয় করেছে-

লিওনার্দো জারদিম :

স্প্যানিশ বংশোদ্ভুত পর্তুগালের এই কোচ ১৯৯৮ (অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার) সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর প্রধান কোচের দায়িত্ব পান ২০০৮ সালে। কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি পাঁচটি ক্লাবের গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।

এখন কোচ হিসেবে লিওনার্দোর সেরা সাফল্য ২০১৭-১৭ মৌসুমে লিগ ওয়ানের শিরোপা ছোঁয়া। পিএসজিকে হারিয়ে ১৭ বছর পর মোনাকোকে শিরোপা এনে দেন এই পর্তুগিজ।

লিওনার্দো নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে মোট পাঁচ ক্লাবকে টোটাল ৮৭৪.৪৬ মিলিয়ন ইউরো আয় এনে দিয়েছেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮২৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬০ টাকা (বর্তমান)। এই টাকা আয় করতে কেবল মাত্র ৫২ জন খেলোয়াড়কে বিক্রি করেছেন তিনি। লিওনার্দো জারদিম মোনাকোতে থাকাকালীন সেসময়ের রেকর্ড ১৮৮ মিলিয়ন ইউরোতে কিলিয়ান এমবাপেকে পিএসজির কাছে বিক্রি করেছেন।

মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি :

ইতালিতে জন্ম দেওয়া আল্লেগ্রির কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৩ সালে। সবশেষ জুভেন্তাসের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে এসি মিলান থেকে তুরিনের বুড়িদের দায়িত্ব নেন আল্লেগ্রি। মোট আটটি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিয়ে ১৩টি (এর মধ্যে দুটি রানার্স-আপ) শিরোপা জিতেছেন আল্লেগ্রি।

কোচিং ক্যারিয়ারে ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করেছেন ৫১ বছর বয়সী আল্লেগ্রি। ১৬ বছরের এই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাবগুলোকে মোট ৬৬৩.৫১ মিলিয়ন ইউরো আয় করে দিয়েছেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬২৭ কোটি ৯১ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৪ টাকা। যেখানে তিনি মোট ১০০ জন ফুটবলারকে বিক্রি করেছেন।

হোসে মরিনহো :

২৬ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে জন্ম নেওয়া একজন পর্তুগিজ ফুটবল ম্যানেজার ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। ম্যানেজার হওয়ার প্রথম সুযোগ তিনি পান ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে (লিসবনের দল বেনফিকার)। এরপর নামিদামি অনেক ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন মরিনহো। রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি ও ম্যানইউর মতো বড় ক্লাবের গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।

কোচিং ক্যারিয়ারে মোট ৫টি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন; যেখানে মোট ১৩টি ট্রফি রয়েছেন তার দখলে। যেকোনো ক্লাবের হয়েই আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়েছেন এই পর্তুগিজ কোচ।

কোচিং ক্যারিয়ারে মরিনহোর অধীনে ক্লাবগুলো মোট ৫৬৭.৩২ মিলিয়ন ইউরো আয় করে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৩৬ কোটি ৯৮ লাখ ৯৭১ টাকা। মরিনহো তার কোচিংয়ের সময় মোট ৬৪ জন খেলোয়াড়কে বিক্রি করেছেন।

দিয়েগো সিমেওনে :

সিমেওনে একজন প্রাক্তন আর্জেন্টাইন ফুটবলার এবং বর্তমানে লা লিগার ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যানেজার। ২০০৬ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন সিমেওনে। সব মিলিয়ে মোট তিনটি ক্লাবের হয়ে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে সফল ছিলেন আতলেতিকোতে।

৪৯ বছর বয়সী এই কোচ এখন পর্যন্ত ৭টি ট্রফি জিতেছেন। সিমেওনের অধীনে ক্লাবগুলো মোট ৫২৯.৫৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫১২ কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭ টাকা। সিমেওনে তার কোচিংয়ের সময় মোট ৫৩ জন খেলোয়াড়কে বিক্রি করেছেন। সব শেষ ফ্রেঞ্চম্যান আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে বার্সেলোনার কাছে বিক্রি করেন তিনি।

উনাই এমেরি :

স্প্যানিশ এই কোচ ২০০৬ সাল থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের হয়ে কোচের দায়িত্বে আছেন। ক্যারিয়ারে মোট পাঁচটি ক্লাবের হয়ে কোচিং করিয়েছেন উনাই এমেরি। যেখানে মোট ৯টি টাইটেল জিতেছেন তিনি।

৪৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ থেকে ক্লাবগুলো মোট ৫২৩.৪৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ হাজার ৯৫৪ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার ৭২৪ টাকা। এমেরি তার কোচিংয়ের সময় মোট ৫৯ জন খেলোয়াড়কে বিক্রি করেছেন।

সূত্র : ৯০মিনিট ডট ইন

ওডি/এএপি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড