ক্রীড়া ডেস্ক
যেভাবেই হোক বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। তার একক যুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে যায় স্বাগতিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব বুঝে নেন স্টোকস।
ইংল্যান্ডের শেষ দুই বলে জয়ের জন্য তিন রান দরকার ছিল। গুরুত্বপূর্ণ সে সময় বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হিরো হতে চাননি স্টোকস। বরং ম্যাচটাকে সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ায় ভালো মনে করেন তিনি। বাউন্ডারির চিন্তা মাথায় আসতেই তার মনে পড়ে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের কথা। যে কারণে ঝুঁকি নেননি স্টোকস।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে এক রানে হারে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল টাইগারদের। ওভারের প্রথম তিন বলে ৯ রান তুলে নেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। এরপর চতুর্থ বলে মুশফিক এবং পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহ বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এক রানে জিতে সেমিফাইনালে উঠে ভারত। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুশফিকের ওই ঘটনার কথা মনে পড়ে স্টোকসের।
স্টোকস বলেছেন, ‘শেষ বলে আমি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম। অল্প কয় রান বাকি ছিল। মুশফিক বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ভারত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠে যায়।’
ওই কথা মাথায় আসতেই স্টোকস আর হিরো সাজতে চাননি, ‘শেষ বলে ছক্কা মেরে সেজন্য আমি হিরো হতে চাইনি। এক রান নিয়ে ম্যাচটা সুপার ওভার ভাগ্যে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম।’
স্টোকস বড় শট খেলার ঝুঁকি না নিলেও রান নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। রান আউটের ফাঁড়া গেছে তার। একবার তো রান আউট থেকে বাঁচতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ব্যাটে বল লেগে চার হয়ে যায়। শিরোপার পেছনে ওই রানেরও বড় ভূমিকা আছে। শেষ দুই বলে দুইজন রান আউটও হয়েছেন। এই ঝুঁকি নিয়ে স্টোকস জানান, তিনি নিজের ওপর কিছুটা বিরক্ত। তবে ম্যাচের ওই মুহূর্তে মনের মধ্যে আবেগ দৌড়াদৌড়ি করছিল।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড